ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ সঞ্চালন: ভাল্ব লিক করে চুইয়ে পড়ছে পানি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২১
বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ সঞ্চালন: ভাল্ব লিক করে চুইয়ে পড়ছে পানি ...

ঢাকা: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্থাপিত বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ সঞ্চালন কেন্দ্রের মাধ্যমে ভারতের বহরমপুর থেকে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে সরকার। ইতোমধ্যেই বিদ্যুৎ আসতে শুরু করেছে।

১০ বছর মেয়াদে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে।

বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ (ভেড়ামারা)-ভারত (বহরমপুর) বিদ্যমান গ্রিড আন্তঃসংযোগ ক্ষমতা বর্ধিতকরণ (৫০০ মেগাওয়াট)’ শীর্ষক প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালে জানুয়ারি মাসে। ২০১৮ সালের জুন মাসে তা সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্প ব্যয়, প্যাকেজের মূল্য, সিডিভ্যাট, ভ্যাট, বেতন-ভাতা, ক্ষতিপূরণ ব্যয়, প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধিসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় পড়েছে প্রকল্পটি। ফলে প্রকল্পটি দেরিতে ২০১৯ সালের জুনে সমাপ্ত হয়।  

গ্রিড স্টেশনের ফায়ার ফাইটিং সিস্টেমে ব্যবহৃত গেট ভাল্বসমূহের মধ্যে কিছু ভাল্ব লিক করে পানি চুইয়ে পড়ছে এবং মরিচা ধরেছে। যে ভাল্বগুলো লিক হওয়ার কারণে পানি চুইয়ে পড়ছে এবং যে ভাল্বগুলোতে মরিচা ধরেছে তা অবিলম্বে মেরামত ও পরিবর্তনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।  

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকল্পের সমাপ্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রকল্পের সমাপ্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)।  

আইএমইডি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পাওয়ার গ্রিড করপোরেশন অব ইন্ডিয়ার হাই ভিলেজ ডাইরেক্ট কারেন্ট (এইচভিডিসি) গ্রিড স্টেশনের  ফায়ার ফাইটিং সিস্টেমে ব্যবহৃত গেট ভাল্বসমূহের মধ্যে কিছু ভাল্ব লিক করে পানি চুইয়ে পড়ছে এবং মরিচা ধরেছে। যে ভাল্বগুলো লিক করে পানি চুইয়ে পড়ছে এবং যে ভাল্বগুলোতে মরিচা ধরেছে তা অবিলম্বে মেরামত ও পরিবর্তনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এক্ষেত্রে ঠিকাদারের সঙ্গে  চুক্তির মেয়াদের মধ্যে থাকলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে দিয়ে ভাল্বগুলো মেরামত ও পরিবর্তনের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) অর্থায়নে গেটভাল্বগুলো মেরামত ও পরিবর্তনের ব্যবস্থা করতে হবে।  

আইএমইডির সহকারী পরিচালক আমিনুর রশিদ এই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন।

২০২১ সালের ৮ এপ্রিল পিসিআর রিপোর্ট পিজিসিবিতে পাঠিয়েছে আইএমইডি। সমাপ্তি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশ করেছে আইএমইডি।
 
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন পিজিসিবি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। প্রকল্পটি আইএমইডির মাধ্যমে পরিদর্শন করে সমাপ্তি মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রণয়ন করা হয়েছে।

আইএমইডি প্রতিবেদন প্রসঙ্গে পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আইএমইডি প্রতিবেদন এখনো আমাদের হাতে আসেনি। আমাদের হাতে আসলে আইএমইডি যেভাবে বলবে অবশ্যই সেইভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২১
এমআইএমস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।