ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সুপারশপে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বাজার করছেন ক্রেতারা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২১
সুপারশপে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বাজার করছেন ক্রেতারা সুপারশপে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বাজার করছেন ক্রেতারা

ঢাকা: মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সারাদেশে লকডাউন জারি করেছে সরকার। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় কেনা-কাটার জন্য পাশে থাকছে দেশের জনপ্রিয় সুপারশপ স্বপ্নসহ অন্যান্য সুপারশপ।

 

লকডাউন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বপ্ন’র আউটলেটগুলোতে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কেনা-কাটার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সুপারশপ স্বপ্নের গুলশানের আউটলেটে গিয়ে দেখা যায়, প্রবেশপথে ক্রেতাদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং দুই হাতে জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে দিচ্ছেন কর্মচারীরা। ট্রলিগুলোতেও জীবাণুনাশক স্প্রে করে দেওয়া হচ্ছে। শপে ক্রেতাদের বেশির ভাগই স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনেই বাজার করাসহ পেমেন্ট করছেন।

প্রায় একই দৃশ্য দেখা গেছে রাজধানীর ধানমন্ডির আউটলেটেও। এখানে ক্রেতা-বিক্রেতারা সবাই মাস্ক ব্যবহার করছেন। ক্রেতারা তাদের পছন্দমতো পণ্য কিনছেন। এই আউটলেটে পেঁয়াজ, ডাল, ছোলা-মুড়িসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বেশি কিনছেন ক্রেতারা।

স্বপ্ন সুপারশপের আউটলেটের একাধিক কর্মচারী জানান, রমজানের আগে ক্রেতাদের উপস্থিতি একটু বেশি ছিল। বিধি-নিষেধ ও রোজার কারণে এখন একটু কম। তবে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই নিয়মিত বাজার করছেন ক্রেতারা।  

তারা জানান, ক্রেতা কম হওয়ার আর একটি কারণ হলো এখন অনেকেই অনলাইনে অর্ডার দিচ্ছেন এবং ঘরে বসেই পার্সেল নিচ্ছেন।  

গুলশান আউটলেটে বাজার করতে আসা জেরিন খান বলেন, বাজার করতে এসে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি। কারণ লোকজন কম। এছাড়া এখন মার্কেটে যারা আসছেন তাদের বেশির ভাগই স্বাস্থ্য সচেতন।  

স্বপ্ন সুপারশপের হেড অব কাস্টমার অ্যানালিটিকস অ্যান্ড কাস্টমার কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজার মেহজাবিন বাঁধন বলেন, গ্রাহকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে সামনে রেখে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে। এগুলো ছাড়া কেউ সুপারশপের ভেতরে যেন প্রবেশ না করে সেটি খেয়াল রাখা হচ্ছে।

আউটলেটগুলোতে জীবাণুনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, ক্রেতাদের স্পর্শ বেশি থাকে এমন সব স্থান যেমন, আউটলেটের দরজা, সেলফ, ফ্রিজ ইত্যাদি জায়গাগুলোতে জীবাণুনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি স্বপ্নের আউটলেটে কর্মরত কর্মকর্তা ও বিক্রয়কর্মীদের জীবাণুমুক্ত থাকার বিষয়টিও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গত ১৫ দিনে অনলাইন অর্ডার আগের চেয়ে ৩৫ ভাগ বেড়েছে। হোম ডেলিভারি এবং ই-কমার্স মিলে ১৪ ভাগ, আর বাকিটা আমাদের স্টোরে বিক্রি হচ্ছে।

স্বপ্নের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সাব্বির নাসির বলেন, এই সময়ে নিজেদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। আউটলেটের সব কর্মকর্তা এবং বিক্রয়কর্মীদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পরিচ্ছন্ন থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়াও স্বপ্নতে প্রবেশের সময়ই হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে গ্রাহকদের হাত জীবানুমুক্ত করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।