সিলেট: এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনে চার দিন বন্ধ থাকার পর ব্যাংক খোলায় ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা পড়েছেন ভোগান্তিতে।
সোমবার (০৫ জুলাই) সকালে ব্যাংক খোলা হলে লেনদেনের জন্য ভিড় করেন গ্রাহকরা।
ব্যংকের ভেতর থেকে শুরু করে সিঁড়ি বেয়ে রাস্তা পর্যন্ত মানুষের দীর্ঘ সারি দেখা যায়।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিভাগীয় ও জেলা শহরে একটি করে ব্রাঞ্চ খোলা রাখার কথা ব্যাংকগুলোর। সে কারণেই এই দীর্ঘ সারি।
সরেজমিন দেখা গেছে, পূবালী ব্যাংক নগরের তালতলা ও শাহজলাল (রহ.) দরগাহ গেইট শাখা খোলা রাখা হয়। একইভাবে অন্য ব্যাংকগুলোও তাদের শাখা খোলা রাখে। কিন্তু ব্যাংকগুলোকে মানুষের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়।
পূবালী ব্যাংকের দরগাহ গেইট শাখায় ৫টি বুথে সেবা দেওয়া হলেও মানুষের ভিড় কমানো ছিল কঠিন।
একইভাবে সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী, ইউসিবি, ব্র্যাক, স্ট্যান্ডার্ড, ডাচ বাংলা, ব্যাংক এশিয়াসহ বিভিন্ন ব্যাংকের শাখায় গ্রাহকদের প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলেন, সকার ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা রাখা হবে। কিন্তু মানুষের দীর্ঘ লাইন ৪টার আগেও শেষ হবে না। কেবল একটি করে শাখা খোলা রাখায় জনভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, ব্যাংক খুলে দিলেও একটি করে ব্রাঞ্চ খোলা রাখায় ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। সময় বেঁধে দিয়ে ব্যাংক খোলা রাখার নিয়ম করলে সব শাখা খুলে দিলে এই দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২১
এনইউ