ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কোরবানি নিয়ে কোনো ধরনের অব্যবস্থাপনা মেনে নেওয়া হবে না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২১
কোরবানি নিয়ে কোনো ধরনের অব্যবস্থাপনা মেনে নেওয়া হবে না

ঢাকা: আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানি নিয়ে কোনো ধরনের অব্যবস্থাপনা মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

এজন্য কোরবানির হাট-বাজারে যাতে চাঁদাবাজি বা ডাকাতি না হয় এজন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগে সম্পৃক্তদের নজরদারী বাড়ানোর নির্দেশসহ ক্রেতা-বিক্রেতাদেরও এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।



বুধবার (১৪ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর বিপণনে বিকল্প বাজার ব্যবস্থাপনা এবং প্রাণিজ পণ্যের বিপণন বিষয়ে মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ঈদুল আযহা বাঙালিসহ বিশ্বের অন্যান্য মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। তবে, কোরবানি উদযাপন করতে গিয়ে যাতে আমরা বিপদ ডেকে না আনি সেটা খেয়াল রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোরবানির পশু কেনাবেচাকে উৎসাহিত করছেন। সেটি বাস্তবায়নে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। সে কাজের প্রক্রিয়ায় যদি কেউ বাধা সৃষ্টি করে তাহলে ধরে নেওয়া হবে করোনাকালে মানুষের সমাগম এড়িয়ে সুন্দরভাবে কাজ করার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। এটা আমরা কঠোরভাবে নেবো। কোরবানির ডিজিটাল ব্যবস্থাকে ব্যাহত করার কর্মকাণ্ডে কেউ সম্পৃক্ত হলে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, অনলাইন পদ্ধতিতে বিক্রি হওয়া কোরবানির পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে যাদের প্রমাণাদি আছে তাদেরকে যাতে পথে হয়রানি করা না হয় সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হয়রানি করলে সেটা চাঁদাবাজি হবে, ফৌজদারি অপরাধ হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। বাজারের নির্ধারিত এলাকার বাইরে পশু পরিবহন ও বিক্রির ক্ষেত্রে কোনোভাবেই হাসিল আদায় করা যাবে না। এটা নিশ্চিত করতে হবে। শেখ হাসিনা সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দিতে মানুষের পাশে আছে।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এ সময় মন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আপনাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ পরিশ্রম আশা করি। আমাদের কাজের জায়গা কোনোভাবেই স্থবির করা যাবে না। তবে সবাইকে স্বাস্থাবিধি অনুসরণ করে কাজ করতে হবে। কোরবানি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে। বাজারে যাতে অসুস্থ পশু বিক্রি না হয় সে বিষয়ে ভেটেরিনারি সার্জনরা কাজ করবেন।

এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা ১ কোটি ১৯ লাখ গবাদিপশুর একটিও অবশিষ্ট থাকবে না। অনলাইনে ২৫ শতাংশ গবাদিপশু বিক্রি হবে বলে আমরা আশা করছি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, প্রতিদিন অনলাইনে গবাদিপশু বিক্রি বাড়ছে। এ পর্যন্ত অনলাইনে ১২ লাখ ৮৪ হাজার পশুর ছবি এবং বিবরণ আপলোড করা হয়েছে। বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৮৪টি। গত বছরের পশু বিক্রি করা হয়েছিল ৮৪ হাজার। আর মোট পশু কোরবানি করা হয়েছিল ৯৫ লাখ যার বাণিজ্যিক মূল্য প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। এ বছরের পশু বিক্রির আশা ৬০ হাজার কোটি টাকার গবাদিপশু।

তিনি বলেন, অভিযোগ রয়েছে অনলাইনে বিক্রি হওয়া পশুর হাসিল চাওয়া হচ্ছে হাট ইজারারদের কাছ থেকে কোনো অবস্থায় এটা নেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে নজর দেওয়ার জন্য বিভাগীয় কমিশনারদের তাগিদ দেন।

সভায় অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সুবোল বোস মনি ও মো. তৌফিকুল আরিফসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় অংশ নেন।

এছাড়া ভার্চ্যুয়ালি সভায় অংশ নেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব দীপক চক্রবর্তী, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমান, বিভাগীয় কমিশনাররা, জেলা প্রশাসকরা, বিভাগীয় মৎস্য দপ্তর ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের প্রধানরা, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি শমী কায়সার, জেলা ও উপজেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা, গবাদিপশু ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২১
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।