ঢাকা: নবজাতকের জন্য মাতৃদুগ্ধ পানের উপকারিতা এবং দুগ্ধদানকারী মায়ের সুস্বাস্থ্য ও পুষ্টির গুরুত্ব সম্পর্কে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করেছে
ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেডের (ইউসিএল) অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘হরলিক্স মাদারস প্লাস’।

এ বছর ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২১’-এর প্রতিপাদ্য ছিল ‘মাতৃদুগ্ধদান সুরক্ষায়: সকলের সম্মিলিত দায়’ (প্রটেক্ট ব্রেস্টফিডিং: এ শেয়ারড রেসপনসিবিলিটি)।

‘হরলিক্স মাদারস প্লাস’ এর মাসব্যাপী ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য ছিল সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যেমে এসব ভুল ধারণা দূর করা ও সবার কাছে সঠিক তথ্য আরও বৃহত্তর পরিসরে পৌঁছে দেওয়া।

বিশেষ করে কোভিড-১৯ সংক্রমণের এ সময়ে মাতৃদুগ্ধের উপকারিতা, স্তন্যদাত্রী মায়ের পুষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে নির্মিত শিক্ষামূলক ধারাবাহিক ভিডিও ‘হরলিক্স মাদারস প্লাস’ এর ফেসবুক পেজ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এসব ভিডিওতে সন্তানকে মাতৃদুগ্ধ দেওয়া সময় মাকে বাবার সহযোগিতা ও তার সরব ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

মাসব্যাপী ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে ইউসিএল বিভিন্ন গণমাধ্যমে চারটি সেমিনারেরও আয়োজন করে। এসব সেমিনারে স্বনামধন্য পুষ্টিবিদ ও অংশগ্রহণকারীরা মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুদের মাতৃদুগ্ধপান এবং স্তন্যদাত্রী মায়েদের সহযোগিতায় বাবা ও সমাজের দায়িত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন।

এছাড়া আয়োজিত ওয়েবিনারে অংশ নেন দেশের শীর্ষ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা গর্ভধারণকালীন বিভিন্ন বাধাগুলো নিয়ে আলোচনা করেন এবং জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে মাতৃদুগ্ধের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এছাড়া স্তন্যদাত্রী মায়েদের পাশে থাকার স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশের ‘সবুজ জাতি’র স্বীকৃতি ধরে রাখার জন্য তারা আরও সচেতনতা ও জ্ঞানের প্রসারে জোর দেন।
এ বিষয়ে ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেডের (ইউসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কে এস এম মিনহাজ বলেন, “সামাজিক উন্নয়নে অনেক অর্জন সত্ত্বেও অপুষ্টি সমস্যা আমাদের জাতীয় পর্যায়ে সবচেয়ে প্রকট সমস্যাগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পুষ্টিগত সুস্বাস্থ্যের বিষয়টি আমাদের সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে রয়েছে, যেটি নিশ্চিত করতে আমরা আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শ্রীলংকার পাশাপাশি বাংলাদেশকে দ্য ওয়ার্ল্ড ব্রেস্টফিডিং ট্রেন্ডস ইনিশিয়েটিভ (ডব্লিউবিটিআই) এর ‘সবুজ জাতি’ হিসেবে এ স্বীকৃতি দিয়ে আমাদের গর্বিত করেছে। ” প্রসঙ্গত, স্তন্যদাত্রী মায়েদের সহযোগিতার ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশ শীর্ষস্থান অধিকার করেছে। ৯৮টি দেশের মধ্যে মাত্র দুটি দেশ এ গৌরব অর্জন করেছে।

মিনহাজ আরও বলেন, “এই সফলতা বজায় রাখার জন্য আমাদের অবশ্যই জনসচেতনতামূলক কর্মসূচিগুলো চালিয়ে যেতে হবে এবং গর্ভবতী ও স্তন্যদাত্রী মায়ের সুস্বাস্থ্য ও পুষ্টির ভারসাম্যে নিশ্চিত করতে অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে উদ্যোগী হতে হবে। যেহেতু সব ধরনের অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জাতীয় এজেন্ডাকে সহযোগিতা করাই আমাদের লক্ষ্য, সেহেতু একটি সুস্থ জাতি উপহার দিতে আমাদের ব্র্যান্ড আরও বেশি সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করবে। ”

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২১
আরআইএস