ঢাকা: পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিনে নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন দেখা গেছে। সব পণ্য কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রোববার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরের বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
এসব বাজারে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা। ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ ছোলার দাম বাড়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। দাম বাড়ার জন্য খুচরা বিক্রেতারা দুষছেন পাইকারি বাজারকে। বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৮০ টাকা। ১০-১৫ টাকা বেড়ে দেশি মসুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে কেজি ১২৫-১৩০ টাকা। মাঝারি দানার মসুর ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা, যা কিছুদিন আগেও ছিল ৮০-৯০ টাকা কেজি। মানভেদে প্রতি কেজি খেজুরের দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। লেবুর হালি ভালো মানের বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। যা গত সপ্তাহেও ছিল ৩০-৪০ টাকা। শশা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। যা গত সপ্তাহে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। একই অবস্থা বেগুনের বেলায়ও। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
বাজারে বুটের ডালের বেসন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি, যা কিছুদিন আগে ছিল ৮০-৯০ টাকার মধ্যে। আর খেসারি ডালের বেসন বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা কেজি, যা কিছুদিন আগে ছিল ৮০-৯০ টাকার মধ্যে।
এদিকে রমজানের প্রভাব পড়েছে মাংসের বাজারেও। বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬৫ টাকা। সোনালি মুরগি ৩১০ টাকা থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় গরুর মাংস কেজি প্রতি ৫০ টাকা বেড়ে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাংস ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন রোজা উপলক্ষে হাটে গরুর দাম বাড়ায় তারাও দাম বাড়িয়েছেন।
এ ব্যাপারে শেওড়াপাড়ায় মাংস ব্যবসায়ী নাজমুল বাংলানিউজকে বলেন, হাটে গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই আমরা মাংসের দাম বাড়িয়েছে। রমজান উপলক্ষে প্রতি গরু পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। দাম না বাড়িয়ে উপায় নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে বরাবরের মতো দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই ফল বাজারও। আপেল, কমলা, নাসপাতি, আঙুর, পেঁপে, তরমুজসহ সব ফল রমজান উপলক্ষে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, বিক্রেতারা অতি মুনাফার আশায় প্রতিবছরই রোজা আসলেই পণ্যের দাম অতিরিক্ত বাড়িয়ে দেয়। এটা শুধু এদেশেই হয়। বহির্বিশ্বে রোজা আসলেই প্রত্যেক পণ্যের দাম কমে। কিন্তু আমাদের দেশে পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও দাম বেড়ে যায়।
তবে প্রতিবছরের মতো এবারও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রোজায় নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকবে। এ জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা আগে থেকে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র উল্টো। প্রতিবছরের মতো এবারও সব পণ্যের দাম বাড়লেও কোনো মনিটরিং ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ করেছেন ভোক্তা সাধারণ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, ৩ এপ্রিল, ২০২২
এসএমএকে/এমএমজেড