ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ই-ক্যাব নির্বাচন: মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সরব প্রার্থীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৮ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২২
ই-ক্যাব নির্বাচন: মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সরব প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন এক ব্যবসায়ী

ঢাকা: বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের উন্নয়ন, সমস্যা নিরসন ও কল্যাণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)।
 
২০১৪ সালে বাণিজ্যিক সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ই-ক্যাবের বর্তমান সদস্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১ হাজার ৭০০টি।

আগামী ১৮ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ই-ক্যাবের ২০২২-২৪ সালের ৪র্থ দ্বি-বার্ষিক কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন। এরই মধ্যে নির্বাচনে অংশ নিতে ৯টি পদের বিপরীতে ৩৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

বুধবার (১৮ মে) ই-ক্যাবের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য ই-ক্যাবের ধানমন্ডি কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন অনেকেই। এদের সবাই ই-কমার্স খাতের উন্নয়ন, সমস্যা নিরসন ও কল্যাণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।

উদ্যোক্তা এবং সংগঠক হিসেবে সুপরিচিত ও ‘যাচাই.কম’-এর প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল আজিজ পরিচালক পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বলেন, আমি ই-ক্যাবের সব সদস্যের প্রার্থী। উদ্যোক্তা হিসেবে সৎভাবে ই-কমার্স পরিচালনা করতে গিয়ে নানামুখী প্রতিকূলতা এবং সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। বার বার স্বপ্ন ভেঙে হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছি, কিন্তু প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচিয়ে রাখার যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি। কখনো হাল ছাড়িনি। বার বার মনে হয়েছে যে যুদ্ধটা একা চালিয়ে যাচ্ছি, যদি পাশে কাউকে পাই! যিনি বা যেই সংগঠন বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সঠিক পরামর্শ দেবেন এবং সাহস দিয়ে যুদ্ধ জয়ের জন্য সহযোগিতা করবেন। আমি যেহেতু ছোট পরিসরে ই-কমার্স পরিচালনা করছি, তাই কিছু সমস্যা চিহ্নিত করতে পেরেছি। ই-কমার্স সেক্টরের সবার চিহ্নিত সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য আমি ই-ক্যাবের সব সদস্য প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে এবং ই-ক্যাব সদস্যদের স্বার্থ ও অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করতে চাই। ইনশাআল্লাহ আমি বিজয়ী হলে ই-ক্যাবের স্থায়ী কার্যালয় করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করব।

এসময় আগামী দিনগুলোতে ই-কমার্স সংক্রান্ত বিষয়ে সদস্যদের সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময় করে সমস্যা চিহ্নিত এবং সেগুলো সমাধানে সবার মতামত নিয়ে কাজের অগ্রগতি ও অসম্পূর্ণ কাজের তালিকা হালনাগাদ করার উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানান তিনি।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া অন্যান্য প্রার্থীরা বলেন, ই-কমার্স ব্যবসার প্রাণ হলো বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস সেলার ও ফেসবুক নির্ভর লাখো উদ্যোক্তা। কিন্তু ই-কমার্স ব্যবসার প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের কল্যাণে তেমন কোনো ভূমিকা রাখা হয়নি। গত বছর ই-কমার্স সেক্টরে অপ্রত্যাশিত ক্র্যাকডাউনের ফলে হাজার হাজার উদ্যোক্তাকে পথে বসতে হয়েছে অথচ তাদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি।  

অন্যদিকে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস নানান অযৌক্তিক শর্তারোপ ও বিভিন্ন পলিসির কারণে ক্ষুদ্র সেলারদের টিকে থাকাই এখন চ্যালেঞ্জ। সেসব দিক নজরে রেখেই এগোনো হবে সামনে।

এর আগে গত ২১ এপ্রিল প্রকাশ করা হয় প্রাথমিক ভোটার তালিকা। এ তালিকায় রয়েছেন ৭৯৫ জন ভোটার। গত ১০ মে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর বুধবার (১৮ মে) দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ ছিল। নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ২৯ মে পর্যন্ত। ১৮ জুন ভোট গ্রহণ ও পদবণ্টন শেষে আগামী ২ জুলাই দায়িত্ব গ্রহণ করবে পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটি।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৬ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২২
এইচএমএস/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।