ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

উদ্বোধনের পরও জমে ওঠেনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাজার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২২
উদ্বোধনের পরও জমে ওঠেনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাজার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরও জমে ওঠেনি জেলার আম বাজারগুলো। সোমবার (৩০ মে) বিকেলে জেলার শিবগঞ্জ বঙ্গবন্ধু ম্যাঙ্গো লাইভ মিউজিয়ামে আম পাড়ার মাধ্যমে চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আম ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্বোধন করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিব খান।

 

যদিও এ বছর আম পাড়ার সময়সীমা নির্ধারণ না থাকায় গত এক সপ্তাহ থেকে দোকানগুলোতে পাকা আম ২শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পরদিন মঙ্গলবার (৩১ মে) থেকে জেলার প্রধান বাজারগুলোতে আম নামতে শুরু করেছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় প্রথমদিন ছিল আমের দাম চড়া। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন আম সংশ্লিষ্টরা।

জেলার সদর, শিবগঞ্জ ও কানসাটের বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে সদরের সদরঘাট এলাকায় অল্প কিছু আম নেমেছে। শিবগঞ্জ আম বাজারে মাত্র ৪/৫ ভ্যান এবং কানসাটে বেশ কিছু আম বিক্রির অপেক্ষায় সড়কের পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে।

কানসাটের আম বাজারে গিয়ে দেখা যায়- ক্ষিরসাপাত রকম ভেদে ২৫শ থেকে ৩ হাজার, গোপালভোগ ২৩শ টাকা, লখনা ১ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন গুটি জাতের আম ২ হাজার টাকা থেকে ২২শ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আমের সরবরাহ কম হলেও ক্রেতাদের ছিল উপচেপড়া ভিড়। কৃষকরা জানান, এ বছর আমের উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কম।

এ ব্যাপারে চককীর্ত্তির আম চাষি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস জানান, গত বছর করোনার কারণে বাগানেই অনেক আম পচে নষ্ট হয়েছে। ক্রেতা না থাকায় চাষিদের অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ বছর আমের ফলন কম হলেও দাম গত বছরের তুলনায় মণ প্রতি গড়ে ৫শ টাকা করে বেশি। আমের দাম এরকম বা আর একটু বেশি হলে চাষি বাঁচবে।

বিনোদপুরের অপর আম চাষি ক্ষোভের সঙ্গে জানান, আগে ৪৫ কেজিতে মণ হিসেবে আম কেনা-বেচা হলেও এ বছর ৫০-৫২ কেজিতে মণ ধরে আম কেনা-বেচা হচ্ছে। এতে করে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।

অন্যদিকে ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ফজলু বেপারী জানান, তিনি প্রতিবছরই আম কিনতে কানসাটে এসে থাকেন। গত ৫ বছরের মধ্যে এ বছর আমের দাম একটু চড়া। চড়া দামে আম কিনে মোকামে নিয়ে বেচতে না পারলে লোকসান গুনতে হবে।

এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নজরুল ইসলাম জানান, এ বছর জেলায় ৩৮ হাজার হেক্টর জমির আম বাগানে ৩ লাখ ১৫ হাজার টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর আমের ফলন কম হলেও এ বছর ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকার আম বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিব খান জানান, আম চাষিদের স্বার্থে এ বছর আম পাড়ার সময় সীমা নির্ধারণ না করা হলেও এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোনোভাবেই কোনো অসাধু চাষি বা ব্যবসায়ী অপরিপক্ব আম পাড়তে পারবে না। এ ধরনের কাজ করলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।