ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৫ কোটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ইউরোপের মতো: বাণিজ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৪ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২২
৫ কোটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ইউরোপের মতো: বাণিজ্যমন্ত্রী কথা বলছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশের সাড়ে চার থেকে পাঁচ কোটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ড (আধুনিক বিশ্ব) ইউরোপের মতো বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।  

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ এখন আর মোটা চাল খেতে চায় না।

অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নের ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (২ জুন) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে দ্বিতীয় চা দিবস- ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।  

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে তিন কোটি মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে। আমি কখনই বলিনি ১৭ কোটি মানুষের পয়সা বেশি হয়েছে। রিয়েলিটি হলো ২০ শতাংশ মানুষের লো ইনকাম, সেটাকে কিন্তু মাথায় রাখতে হবে। ১৭ কোটি থেকে ৩ কোটি বাদ দিলে ১৪ কোটি থাকে। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে চার থেকে পাঁচ কোটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা প্রায় ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ড ইউরোপের মতো। আমাদের দরিদ্র শ্রেণির তিন কোটি মানুষকে এডজাস্ট করা দরকার, সেটাই করছি। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে সেটা আপনারাও জানেন।  

দ্রব্যমূল্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, আমাদের দেখা দরকার সাধারণ মানুষ সঠিক মূল্যে পণ্য কিনতে পারছেন কিনা। ক্রয়ক্ষমতাও দুটি দিক রয়েছে, একটি হলো যারা উৎপাদনকারী এবং যারা ভোক্তা। আমরা যদি এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যাই যে উৎপাদনকারী আর ইন্টারেস্ট পাচ্ছে না, তাহলে কিন্তু প্রভাব পড়বে। আমাদের দেখতে হবে উৎপাদন খরচ, প্রোফিট, মার্জিন কতোটা থাকা উচিত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রাইজের ক্ষেত্রে যেন কোনোভাবে বড় ধরনের পার্থক্য না থাকে। এটা দেখার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় যেভাবে আমাদের সাহায্য চাইবে আমরা সাহায্য করব।

তিনি বলেন, আমদানি নির্ভর পণ্যের দাম বাড়লে। তখন তার প্রভাব সব পণ্যের ওপর পড়ে। ডলারের বর্তমান মূল্য নিয়ে পৃথিবীর সব দেশ একটা বিপদের মধ্যে রয়েছে। আমরাও সে বিপদ থেকে বাইরে নেই।  

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের কথা হলো নিম্নআয়ের মানুষের স্বার্থ দেখা। যাদের টাকা আছে তিনি কী করবেন সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমাদের কথা হলো ন্যায্যমূল্যে যেসব পণ্য পাওয়া উচিত সেটা আমরা অবশ্যই দেখব। খাদ্য মন্ত্রণালয় যখন আমাদের ডাকবে তখন আমরা অবশ্যই যাবো। খাদ্যের বিষয়টি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কনসার্ন।

বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২২
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।