ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অস্থির চালের বাজার, বস্তায় বেড়েছে ২০০-৫০০ টাকা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৬ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২২
অস্থির চালের বাজার, বস্তায় বেড়েছে ২০০-৫০০ টাকা

পঞ্চগড়: ধান কাটার মৌসুম চলছে। একই সঙ্গে চলছে ধান মাড়াইও।

ধানের সরবরাহেও কোনো কমতি নেই। তারপরও গত এক সপ্তাহের তুলনায় চালের দাম পরিবর্তিত হয়ে কেজিপ্রতি ৬ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে।

এদিকে চালের বস্তায় বেড়েছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা। এতে করে বোরো ধান কাটা ও সংগ্রহের ভরা মৌসুমে চালের বাজার অস্থির হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের ক্রেতারা।

# চালের বস্তায় দাম বেড়েছে ২০০-৫০০ টাকা
# বস্তা প্রতি দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৬-৮ টাকা।
# সিন্ডিকেটের কারসাজির অভিযোগ ক্রেতাদের।
# মোকামে চাল সংকট না থাকলেও দাম বেশি নেওয়ার কারণ জানেন না চাল ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিনে শুক্রবার (০৩ জুন) পঞ্চগড় শহরসহ তেঁতুলিয়া উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা গেছে, গত কয়েক দিনের মধ্যে গুটি স্বর্ণা সেদ্ধ ৫০ কেজি চালের বস্তাপ্রতি ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩৫০ টাকায়, স্বর্ণা পাইজাম সেদ্ধ চাল সাড়ে ৪০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ টাকায়, আঠাইশ বস্তায় ২০০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ টাকায়, ২৯ চালে ২০০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ টাকায়, মিনিকেট বস্তায় ২০০ টাকা, কাটারি, আতপ চালের বস্তায় ২০০ টাকা দাম বেড়েছে। পাইকারি চালের বাজারে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৬ থেকে ৮ টাকায়।

পঞ্চগড় শহরের চালের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রচুর মজুদ থাকা সত্ত্বেও ১০-১৫ দিনের ব্যবধানে ৫০ কেজির বস্তা চালের দাম ২০০-৪০০ টাকা বাড়িয়েছেন মিল মালিকরা। সব ধরনের চাল আগের চেয়ে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে আমাদের। এজন্য আমরাও বাড়তি দামে বিক্রি করছি।

তবে, হঠাৎ বোরো মৌসুমেও চালের দাম বাড়ায় সিন্ডিকেটের কারসাজি বলে অভিযোগ করছেন ভোক্তারা। মোকামে চাল সংকট না থাকলেও দাম বেশি নেওয়ার কারণ জানেন না চাল ব্যবসায়ীরা।

পঞ্চগড় শহরে বাজার করতে আসা আনিছুর রহমান বাংলানিউজকে বলন, নিত্যপণ্যের দামের সঙ্গে এবার চালের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় আমরা খুব সমস্যায় পড়ে গেছি। যেই মূল খাদ্য খেয়ে আমরা বেঁচে থাকি সেই খাদ্য কিনতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

একই কথা জানান নুর নবী নামে আরেক ক্রেতা বাংলানিউজকে অভিযোগ করে বলেন, আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। আমাদের বাজার করতে যে অবস্থা তাতে ভাবছি, নিম্নবিত্ত পরিবার তাহলে কী করছে। বাজারে চাল, ডালসহ সব নিত্যপণ্যের দাম অনেকটাই বেড়ে গেছে। সরকার যদি এ বিষয়টি নজরে নিয়ে একটা সঠিক ব্যবস্থা নেন তাহলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো একটু বাঁচবে।

বাজার করতে আসা সোহেল রানা বাংলানিউজকে বলেন, ভোগ্যপণ্যের এমন কোনো জিনিস নাই যে দাম বাড়েনি। তবে, শেষে চালের দামও বাড়ল কেজিতে ৫-৮ টাকা। এতে সংসার পরিচালনায় হিমশিম খাচ্ছি। সব শেষে এই চালের দাম বাড়ার মূল কারণ সিন্ডিকেট। কারণ সিন্ডিকেট কারসাজি না করলে কোনো পণ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে যায় না।

কথা হয় পঞ্চগড়ের তানিম অটো রাইস মিলের মালিক মোহাম্মদ জিন্নাহর সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, চালের দাম বাড়ার বিষয়টি জানা নেই। তবে, ধানের দাম বাড়ার ফলে চালের দাম বাড়তি।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় জেলা কৃষি বিপণনের বাজার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা আব্দুল গফুর বাংলানিউজকে বলেন, হঠাৎ চালের দাম বাড়ার কারণ বাজারে ধানের দাম বেড়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।