ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩১, ১৮ জুন ২০২৪, ১০ জিলহজ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

শতভাগ মার্জিন দিয়েও এলসি খুলতে না পারার অভিযোগ আমদানিকারকদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২২
শতভাগ মার্জিন দিয়েও এলসি খুলতে না পারার অভিযোগ আমদানিকারকদের

ঢাকা: নতুন নিয়ম অনুযায়ী শতভাগ মার্জিন দিয়েও ব্যাংক থেকে গাড়ি আমদানির জন্য কোনো এলসি খুলতে পারছেন না আমদানিকারকেরা। এতে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে গাড়ি আমদানি।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) কার্যালয়ে আয়োজিত অটোমোবাইল বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির দ্বিতীয় সভায় এই অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা।

তারা বলেন, বিলাসপণ্য হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় শতভাগ এলসি মার্জিনের আওতাভুক্ত হয়েছে গাড়ি আমদানি। কিন্তু বর্তমান অর্থনৈতিক অগ্রগতির বাস্তবতায় গাড়ি এখন মানুষের প্রয়োজনীয় পণ্যের পরিণত হয়েছে। তাছাড়া সড়কপথে পণ্য পরিবহনে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।

করোনা মহামারিকালীন ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের কারণেই দেশজুড়ে পণ্যের সাপ্লাই চেইন স্বাভাবিক ছিল। তাই এসব বিবেচনায় গাড়িকে বিলাসী পণ্যের আওতার বাইরে রাখার আহ্বান জানান আমদানিকারকরা।

বিশ্বজুড়ে পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় ইলেকট্রিক গাড়িকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে নানা প্রণোদনা দিচ্ছে বিভিন্ন দেশের সরকার। কিন্তু বাংলাদেশে এ ধরনের গাড়ির নিবন্ধন এখন বন্ধ রয়েছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।

বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে এরইমধ্যে একটি বিদেশি কোম্পানি ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। নিবন্ধন সমস্যার সমাধান না হলে এই বিনিয়োগ বিফলে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হবে। আর একটা বিদেশি বিনিয়োগ ব্যর্থ হলে ভবিষ্যতে অন্য কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান এই খাতে বিনিয়োগ করতে আসবে না।

অটোমোবাইল শিল্পের উন্নয়নে এই ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের উন্নয়নের তাগিদ দেন সভাপতি। তিনি বলেন, আজকে যারা গাড়ি সংযোজন করছে, ভবিষ্যতে তারাই গাড়ি তৈরি ও রপ্তানি করবে। এজন্য নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করতে হবে।

এফবিসিসিআইর সহসভাপতি ও কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ মো. হাবীব উল্লাহ ডন বলেন, বৈশ্বিক সংকটের কারণে শতভাগ মার্জিন দিয়ে হলেও আমরা সরকারের সঙ্গে থাকছি। তারপরেও বিভিন্ন কাগজপত্রের নামে ব্যাংকগুলো গাড়ি আমদানিতে নিরুৎসাহিত করে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক বাধা দূর করে বিভিন্ন দেশের মতো অটোমোবাইল শিল্পের উন্নয়নে সরকারি প্রণোদনাও আশা করেন তিনি। এছাড়া বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে শুল্ক মওকুফ করে রেজিস্ট্রেশনে সুষ্ঠু নীতিমালা তৈরির আহ্বানও জানান তিনি।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও রানার অটোমোবাইলস লি.-এর চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান।  তিনি বলেন, শতভাগ এলসি মার্জিনে আমাদের কোনো সমস্যা ছিল না, কিন্তু পুঁজি বিনিয়োগ ও তারল্য ঘাটতির কারণে প্রণোদনা প্যাকেজ জরুরি।

মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে মোটরসাইকেল ক্রয়ের আগে ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকার নিয়ম বাতিল, বিআরটিএ কর্তৃক কম সময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তি, ইলেকট্রনিক যানের এইচএস কোড নির্দিষ্টকরণ, থ্রি-হুইলারের সরকারি নিবন্ধন ও ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নে অটোমোবাইল খাতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি সংযুক্ত করার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।  

সভা্য় আরও উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, পরিচালক রেজাউল করিম রেজনু, সিআইপি, এমজিআর নাসির মজুমদার, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, হাফেজ হারুন, ইকবাল শাহরিয়ার, আসলাম সেরনিয়াবাত, আবু হোসেন ভুঁইয়া (রানু), আক্কাস মাহমুদ, কমিটির কো-চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, আবদুল হক, তাসকিন আহমেদ, মাহবুবুল হক চৌধুরী বাবুরসহ অটোমেবাইল খাতের ব্যবসায়ীবৃন্দ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘন্টা, ২৭ অক্টোবর, ২০২২
এমকে/ইআর
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।