ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ থেকে আমাদের পাঠ নিতে হবে। জঙ্গীবাদ পিছিয়ে দিতে চায়, তাদের রুখতে রবীন্দ্রনাথের কণ্ঠে কথা বলতে হবে আমাদের।
সোমবার (৮ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সমাজ সংস্কার ও রবীন্দ্রনাথ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামাল।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, সমাজের নানা অসঙ্গতি, কুসংস্কার, বাংলার মানুষের কষ্ট, প্রকৃতি, পরিবেশ, মানবপ্রেমসহ বিভিন্ন বিষয় রবীন্দ্রনাথ তাঁর কবিতা, ছোটগল্প, গান, রচনা, সাহিত্য ও শিল্পকর্মের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ প্রতিষ্ঠায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাভাবনা ও দর্শন সকলের সামনে আমাদের সবসময় তুলে ধরতে হবে। রবীন্দ্রনাথের জীবন, দর্শন ও সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে জানলে আমরা নিজেদের আরও সমৃদ্ধ করতে পারব বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামাল মূল প্রবন্ধে বলেন, রবীন্দ্রনাথের সমাজদর্শন বিশ্বদর্শনে পরিণত হয়েছে। তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃজনশীল কাজগুলো তৎকালীন পূর্ববঙ্গের গ্রাম্যজীবন ও পদ্মাপাড়ের মানুষের জীবন নিয়ে রচিত। তিনি লেখার মাধ্যমে মানুষের চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন করে সমাজ সংস্কার করতে চেয়েছেন। সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে নারীকে সর্বোচ্চ আসনে রেখেছেন রবীন্দ্রনাথ।
আলোচনা পর্ব শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগ ও নৃত্যকলা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২৩
এসকেবি/এসআইএস