ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জোর করে ডাক্তারি-বিজ্ঞান পড়ানোর মানসিকতা ছাড়তে হবে: শিক্ষামন্ত্রী 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৬ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
জোর করে ডাক্তারি-বিজ্ঞান পড়ানোর মানসিকতা ছাড়তে হবে: শিক্ষামন্ত্রী 

ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের চাপ না দিয়ে যার যেদিকে আগ্রহ আছে, সেদিকে বাবা-মায়েদের গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন, যার ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছে নেই, তাকে জোর করে ডাক্তারি পড়ানো হবে, যার বিজ্ঞান পড়ার ইচ্ছে নেই, তাকে বিজ্ঞান পড়ানো হবে, এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

রোববার (১১ জুন) বিকেলে রাজধানীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা-২০২৩ এর বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক লিয়াকত আহমেদ বক্তব্য রাখেন। সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার।  

এর আগে, সকালে ‘বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৩’ প্রতিযোগিতায় পাঁচটি গ্রুপে নির্বাচিত ১৫ জনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কার দেন। বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় পর্যায়ের সেরা ১০ জনকে পুরস্কার দেন শিক্ষামন্ত্রী।  

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীরা বই মুখস্থ করবে না। সক্রিয় শিখনের মধ্য দিয়ে, প্রকল্পের মধ্য দিয়ে দক্ষতা গড়ে তুলবে। আগামী দিনটা প্রযুক্তির, প্রযুক্তি বিষয়ে শিখতেই হবে, শুধু শেখা নয়, উদ্ভাবন করতে হবে, সেখানে দক্ষ হতে হবে। অন্যরা প্রযুক্তি উদ্ভাবন করবে, আর আমরা শুধু ব্যবহার করব? নিশ্চয় নয়, আমরাও প্রযুক্তির উদ্ভাবন করব। সারা দিন যদি মুখস্থ করতে হয়, আর পরীক্ষা দিতে হয়, তাহলে এই উদ্ভাবনের চিন্তা কীভাবে মাথায় আসবে? 

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা অনেক রকম উদ্যোগ নিয়েছি। এতে শিক্ষকদের একটি বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণে আমরা খুব জোর দিচ্ছি।  

মন্ত্রী বলেন, কার কোনদিকে প্রতিভা বেশি আছে, আগ্রহ বেশি আছে, পিতা-মাতা ও শিক্ষকরা যদি সেই দিকে গুরুত্ব দেন, তাহলে সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ দেখব, যা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করবে। যদি তা না করে শিক্ষার্থীদের চাপ দিতে থাকি, তাহলে মানসিক স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হবে। কখনো কখনো আত্মহননের পথও বেছে নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, জিপিএ-৫ পাওয়া জীবনের লক্ষ্য নয়। বিদেশে যারা পড়াশোনা করে, তাদের শিক্ষাক্ষেত্রে এতো চাপ নেই। এ জন্য তারা উদ্ভাবনী হয়। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সবাই মেধাবী। আমরা এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মেধার অনুশীলনে উৎসাহিত করছি। এদের দেখে অন্য শিক্ষার্থীরাও যেন উৎসাহিত হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ২২১৯ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
এমআইএইচ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।