ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি আফিফের সাফল্য 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২৩
আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি আফিফের সাফল্য 

আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের আফিফ মুহতাদি ওয়াফি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কানাডা, চীন, ভারত ও স্পেনসহ ১৮টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে লড়াই করে এ সাফল্য বয়ে আনে আফিফ।

প্রতিযোগিতায় অন্য দেশগুলোর মধ্যে অংশ নেয়- ক্রোয়েশিয়া, ভেনেজুয়েলা, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, গুয়েতামালা, ফিলিপাইন, পানামা, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, কম্বোডিয়া, উজবেকিস্তান, মেক্সিকো ও স্বাগতিক মালয়েশিয়া।

গত ৩০ জুলাই মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।  

প্রতিযোগিতায় শিশুরা কত দ্রুত ও নির্ভুলভাবে গণিতের সমাধানে পৌঁছাতে পারে, পরীক্ষার উদ্দেশেই প্রতিযোগিতাটি আয়োজিত হয়। প্রতিযোগিতাটিতে অংশ নেওয়াদের ৫ মিনিটের মধ্যে ৭০টি জটিল গাণিতিক সমাধান করতে বলা হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।  

বাংলাদেশ থেকে সিনিয়র ও জুনিয়র পর্যায়ে মোট ১৪৭ জন প্রতিযোগী এতে অংশ নেয়। আর সারা বিশ্ব থেকে অংশ নেয় সাত শতাধিক। আফিফ মুহতাদি ওয়াফি জুনিয়র পর্যায়ে অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়নের পুরস্কার জিতে নিয়েছে।  

আফিফ আলোহা ঢাকার মোহাম্মদপুর ক্যাম্পাস থেকে বিজয়ী হয়ে অংশ নিয়েছে এই প্রতিযোগিতায়। সে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় আলোহা বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় প্রতিযোগিতায় গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

আফিফ চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মাদার্শা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ও ঢাকায়  মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা মো. শফি উদ্দিন একজন ওষুধ ব্যবসায়ী ও সাবেক সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সহকারী একান্ত সচিব ছিলেন। মা আক্তার বেগম ডলি একজন গৃহিণী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিকের ফাউন্ডার লোহমুনসাঙ, আলোহা ইন্টারন্যাশনাল ডিরেক্টর মিস. কিরণ মাতওয়ানি।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মস্তিষ্কের মানোন্নয়নে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিক। আমরা লক্ষ্য করছি প্রতি বছর শিক্ষার্থীরা ব্যাপক আগ্রহ ও উৎসাহ নিয়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। আলোহার শিক্ষার্থীরা বড় হয়ে নানান মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিকের ফাউন্ডার লোহমুনসাঙ বলেন, আমরা চাই পুরো পৃথিবীজুড়ে শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিমত্তার সৃষ্টিশীল বিকাশ ঘটুক। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা চাই এ মেধাবী মুখগুলো ভবিষ্যতে দেশের উন্নতিতে অংশগ্রহণ করুক।

২০০৬ সালের মার্চ থেকে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে আলোহা। আলোহা আইএসও (ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন) সনদপ্রাপ্ত লার্নিং সিস্টেম যা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪২টি দেশের ৬০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কাজ করে। ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।