জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২০১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৬তম সিন্ডিকেট সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেট উত্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবীর চৌধুরী।
এর আগে গত ২৪ জুন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটির সভায় এই বাজেট সুপারিশ করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিন্ডিকেট সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
এবারের ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রস্তাবিত মূল বাজেট ২০১ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সংশোধিত ঘাটতি বাজেটসহ বরাদ্দ ছিল ১৮৭ কোটি টাকা। এবার প্রস্তাবিত বাজেটে বেড়েছে ১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঘাটতি বাজেট ৩৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। প্রস্তাবিত ২০১ কোটি টাকার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বরাদ্দকৃত অর্থ ১৬৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
এবার বাজেটে ইউজিসি কর্তৃক গবেষণা বাবদ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মাত্র ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হচ্ছে, এর মধ্যে ১ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পিএইচডি গবেষণায়। গবেষণায় বরাদ্দ মূল বাজেটের মাত্র ২.৪৬ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদার তুলনায় এই বাজেট কম বলে জানান সংশ্লিরা।
বাজেট বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রস্তাবিত ২০১ কোটি টাকার সিংহভাগ ব্যয় হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাবদ। মূল বাজেটের ১১৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয় হবে এই খাতে। যা মূল বাজেটের ৭১ শতাংশ। এছাড়া জ্বালানি খরচে ব্যয় হবে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। গতবার জ্বালানিতে বরাদ্দ ছিল ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ইউজিসি কর্তৃক ব্যয় সীমা ছিল ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
পিছিয়ে স্বাস্থ্য সেবা খাতও
২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা খাতে বরাদ্দ ছিল মাত্র ৭ লাখ টাকা। এবার ৩ লাখ টাকা বেড়ে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে মাত্র ১০ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ হাজার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জন্য যা একেবারেই সামান্য।
এছাড়া শরীরচর্চা কেন্দ্র ও খেলাধুলা খাতে বরাদ্দ মাত্র ২৫ লাখ, যা গতবার ছিল ২০ লাখ। ফিন্ড ওয়ার্ক শিক্ষা সফরে ৩ লাখ টাকা বেড়ে এবার বরাদ্দ ১৫ লাখ টাকা। এদিকে অনুষ্ঠান ও উৎসব ভাতাদি বাবদ বরাদ্দ মাত্র ৩৫ লাখ টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবীর চৌধুরী বলেন, ইউজিসির বরাদ্দের ওপর ভিত্তি করেই আমাদের বাজেটটা প্রণয়ন করার চেষ্টা করেছি। প্রস্তাবিত বাজেট বিভিন্ন খাতে বণ্টন করা হয়। শুধু গবেষণা খাতই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ও চাহিদা অনুযায়ী অন্যান্য খাতেও বরাদ্দ কম হয়েছে। সমন্বয় করেই সব কিছু করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, বাজেটে খাত ভিত্তিক বরাদ্দ বেড়েছে। আমাদের আরও বেশি প্রত্যাশা ছিল কিন্তু সেটা সমন্বয় করতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধার কথাও বিবেচনা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বরাদ্দ বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৪
এমজেএফ