শাবিপ্রবি (সিলেট): শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১৮০ কোটি ৮ লাখ টাকার বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা গবেষণা খাতে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বাজেটের বিস্তারিত তুলে ধরেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান, হিসাব দপ্তরের পরিচালক সোহেল উদ্দিন, উপপরিচালক মোর্শেদ আহমেদসহ শাবি প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাজেটের সার্বিক বিষয়ে তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১৮০ কোটি ৮ লাখ টাকার বাজেট দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে বেতন-ভাতায় ১১১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, পেনশন খাতে ৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, পণ্য সরবরাহ ও সেবা খাতে ৩৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে। এছাড়া যন্ত্রপাতি খাতে ৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, যানবাহন খাতে ৫২ লাখ টাকা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সুশাসনে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় অনন্য অবস্থানে রয়েছে। আমাদের আর্থিক স্বচ্ছতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন আমাদের প্রতি আস্থা রেখেছে। ইউজিসি সবসময় আমাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছে। ফলে আমাদের কাজগুলো সহজ হয়ে উঠেছে। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
বাজেটে শিক্ষা ও গবেষণার প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, শাবিপ্রবিকে গবেষণাভিত্তিক হিসেবে রূপান্তর করতে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের গবেষণা প্রতি আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে। এজন্য গবেষণা খাতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আমি আসার পর এখানে গবেষণা বাজেট ছিল ৯০ লাখ টাকা। এ বাজেট সাড়ে দশ গুণ বৃদ্ধি করে ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা করা হয়েছে, যা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা বাজেটের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষা ও গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন র্যাংকিংয়েও এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ডিস্টিংগুইশ প্রফেসর নিয়োগ দিয়েছি। আশা করছি, এ বিশ্ববিদ্যালয় আগামী দুই বছরে দেশের শীর্ষ ও আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে ৫০০ এর মধ্যে অবস্থান করবে।
এ বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে দাপ্তরিক কাজগুলো ডি নথির মাধ্যমে করা হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেটগুলো অনলাইনে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ডিজিটাল হাজিরা, শিক্ষকদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধকরণ, শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনে আগ্রহী করতে আর্থিক ও লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বর্ধনে লেক খনন, ওয়াকওয়ে তৈরি, রাস্তাঘাট মেরামত, আধুনিক হল, শিক্ষকদের লাউঞ্জ, কাফেটেরিয়া, ফুডকোর্টসহ নানা টেকসই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান রয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন উপাচার্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২৪
আরবি