প্রত্যয় স্কিম প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সুপারগ্রেডে অন্তর্ভুক্তি, ও স্বতন্ত্র বেতন গ্রেড প্রবর্তনের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষাসহ সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
৩০ জুন সংবাদ সম্মেলন করে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
সরেজমিনে দেখা যায়, সোমবার (২ জুন) আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন ফটকের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
এসময় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, এই আন্দোলন শিক্ষার্থীদের জন্যই। ভবিষ্যতে তারাই শিক্ষক হবেন। শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে আন্দোলন করা হচ্ছে বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। অথচ প্রত্যয় স্কিমের মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশের শিক্ষকদেরই জিম্মি করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, উন্নত বিশ্বের কথা বাদ। এই উপমহাদেশের ভারত, শ্রীলংকার শিক্ষকদের বেতন অনেক বেশি। এমনকি যাদের বিরুদ্ধে আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছিলাম, সেই পাকিস্তানেও শিক্ষকদের বেতন অনেক বেশি।
ঢাবি সাদা দলের আহবায়ক ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, এই পেনশনস্কিমটি শিক্ষকদের মান-সম্মানের ব্যাপার। এই আন্দোলন শিক্ষার্থীদেরও আন্দোলন। সরকার যদি কালক্ষেপণ করে তাহলে জনগণও এই আন্দোলনে অংশ নেবে বলে আমি মনে করি।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন সার্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলসহ ৩ দফা দাবি নিয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মোর্চা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। এরপর থেকে ১ ও ২ জুলাই দেশের ৩৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২৪
এমএম