ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে জবি সাদা দলের সংহতি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২৪
শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে জবি সাদা দলের সংহতি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): দেশে চলমান শিক্ষার্থীদের একদফা দাবিসহ সব ধরনের যৌক্তিক আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

রোববার (৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে তারা এ সংহতি প্রকাশ করেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, একটি যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একটা সুষ্ঠু আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের গুলি করে যেভাবে পাখির মতো হত্যা করা হয়েছে সেটা কোনো ইতিহাসের পাতায় খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরা শিক্ষক হিসেবে লজ্জিত, আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে পারিনি। তারা অবিলম্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আটক শিক্ষার্থীসহ সব শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক জমির হোসেন বলেন, আমরা এখানে ছাত্রদের জন্য এসে দাঁড়িয়েছি। এই কোটা সংস্কার আন্দোলনে অনেক ছাত্র নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অনেকে আছে শিশু, অপ্রাপ্ত বয়স্ক। আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর গুলিতে, হামলায় দুই শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী নিহত হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জেনেছি। এসব সংবাদে আমরা মর্মাহত, ভারাক্রান্ত। আমাদের আত্মীয়ের মধ্যেও এমন ঘটেছে। আমরা শিক্ষক হিসেবে এসব মেনে নিতে পারছি না। আমরা বিবেকের তাড়নায় এখানে এসে দাঁড়িয়েছি। যারা নিহত হয়েছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে বিচার করা হোক। যারা বন্দী অবস্থায় আছে তাদের মুক্তির দাবি জানাই।

বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক মঞ্জুর মোর্শেদ ভূইয়া বলেন, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন ,৬৯ এর গণ আন্দোলন ,৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ আন্দোলন কেও আবার ছাত্র আন্দোলন ছাড়িয়ে গেছে। এবার যেটা হয়েছে সেটি গণহত্যা। এর দায় সরকারকে নিতে হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের সকল দাবির সাথে সংহতি প্রকাশ করছি। একদফা দাবির সাথে আমরা একাত্মতা পোষণ করছি। আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য কিছুই করতে পারিনি, অন্তত সংহতি প্রকাশ করতে পারলে যারা জীবন দিয়েছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দীন বলেন, চোখের সামনে আমার শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে, আমি শিক্ষক হিসেবে তার প্রতিবাদ জানাতে পারিনি। দেরিতে হলেও আমরা এখানে সংহতি জানাতে এসেছি। আমি একাত্তর দেখিনি, ৫২ দেখিনি, আটষট্টি দেখিনি, ৯০ দেখিনি, আমি আমার নিজের চোখে চব্বিশ দেখেছি। এখন দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে বলা হচ্ছে দরজা খোলা, আগে কেন বন্ধ ছিল? এই পুলিশকে গুলি করার অনুমতি কে দিয়েছে, জাতি আজকে জানতে চায়। একজন মন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষার্থীদের দাবি বিষয়ে ছাত্রলীগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজকের এ অবস্থা সৃষ্টির জন্য কারা দায়ী, তা দেশের ১৮ কোটি জনগণ অবগত।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২৪
এমজে

 
 

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।