ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

যবিপ্রবিতে শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের ক্লাসবর্জন শুরু

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১২

যশোর: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা।

ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায় এবং শিক্ষকদের প্রতি কর্মকর্তাদের অসম্মানজনক আচরণের প্রতিবাদে শিক্ষকরা এ কর্মসূচি গ্রহণে বাধ্য হয়েছেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন যবিপ্রবি’র প্রাক্তন প্রক্টর ড. সাইবুর রহমান মোল্লা।



বৃহস্পতিবার থেকে শিক্ষকরা এ কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে বলেও জানান তিনি।

যবিপ্রবি সূত্র জানিয়েছে, বুধবার সড়ক দুর্ঘটনায় যবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। নিহত শিক্ষার্থীদের নিয়ে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেয়াসহ যাতায়াতের কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গাড়ি ব্যবহার করেন প্রক্টর।

কর্মকর্তাদের ব্যহারের জন্য নির্দিষ্ট গাড়িটি প্রক্টর এসএম নূর আলম নিয়ে যাওয়ায় সাময়িক অসুবিধার মধ্যে পড়েন কর্মকর্তারা।

এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে যবিপ্রবির সহকারী প্রক্টর কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রভাষক আশরাফুল আলমের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুর রশিদ। আব্দুর রশিদ এ সময় সহকারী প্রক্টরকে মারতেও উদ্যত হন বলে সূত্রের দাবি।

শিক্ষকের সঙ্গে এমন আচরণের প্রতিবাদে এবং শিক্ষকদের যৌক্তিক প্রাপ্য নিশ্চিত করার দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষকরা।

এ বিষয়ে যবিপ্রবির জনসংযোগ কর্মকর্তা হায়াতুজ্জামান মুকুল বাংলানিউজকে জানান, শিক্ষকদের সঙ্গে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরোধের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। শিক্ষকরা এদিন ক্লাসে যাননি।

যবিপ্রবির প্রাক্তন প্রক্টর পরিবেশ বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সাইবুর রহমান মোল্লা বাংলানিউজকে জানান, সব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের গাড়ি থাকলেও যবিপ্রবিতে প্রক্টরের কোনো গাড়ি নেই।

এ কারণে তিনি দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর বাধ্য হয়ে একটি গাড়ি ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু এ নিয়ে প্রশাসন বিভাগের কর্মকর্তা যে আচরণ করেছে তা মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি উল্লেখ করেন, যবিপ্রবিতে সব সুযোগ সুবিধাই যেন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ। শুরু থেকেই শিক্ষকরা যথানিয়মে পাঠদান করলেও তারা ন্যায়সঙ্গত অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

এ কারণে বাধ্য হয়ে ওই ঘটনার প্রতিবাদে তারা আন্দোলনে নেমেছেন। দোষী কর্মকর্তাকে অপসারণ এবং শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা না হলে এ আন্দোলন চলবে।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১২
সম্পাদনা: প্রভাষ চৌধুরী, নিউজরুম এডিটর /সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।