ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

দেশ-জাতির কল্যাণে প্রকৌশল বিদ্যার সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে কুয়েট: ভিসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪
দেশ-জাতির কল্যাণে প্রকৌশল বিদ্যার সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে কুয়েট: ভিসি

খুলনা: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ২১তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং আন্দোলনে আহত হয়ে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২৪’ উদযাপন অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) এ উপলক্ষে আয়োজিত প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মুহাম্মদ মাছুদ এবং সভাপতিত্ব করেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন, প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ হারুনুর রশীদ।

সকাল সাড়ে ৯টায় ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২৪’ উদযাপন কমিটির সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়, ডিন, রেজিস্ট্রার, পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন।

‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রীতি সমাবেশ ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান ভূঞা।  

এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. কুতুব উদ্দীন, প্রফেসর ড. খন্দকার আফতাব হোসেন, আয়োজক কমিটির সদস্য-সচিব ও পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ, আয়োজক কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড.মুহাম্মাদ হারুনুর রশীদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মুহাম্মদ মাছুদ।

সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, এ বছর দেশে বর্তমান ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কুয়েট এবং খুলনার অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যেসব শিক্ষার্থী পঙ্গুত্ব/দৃষ্টি শক্তি রহিত বা অন্যান্য আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে তাদের জন্য এবং খুলনার পার্শ্ববর্তী স্থানগুলো বন্যা/বাঁধ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানগুলো সংক্ষিপ্ত করে এ অনুষ্ঠান থেকে অব্যয়িত টাকা ক্ষাতিগ্রস্তদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ তার বক্তব্যের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সব শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং একই সঙ্গে আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন ও চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।  

এ সময় তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কুয়েটকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন। এ সপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে। দেশ ও জাতির কল্যাণে কুয়েট প্রকৌশল বিদ্যার অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে সুনাম অর্জন করছে এবং বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে এটাই আমাদের স্বপ্ন।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত ভাইস-চ্যান্সেলর অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে শান্তির প্রতীক পায়রা উন্মুক্ত করেন এবং এর পরপরই তিনি ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২৪’ এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ওয়েব সাইটের শুভ উদ্বোধন করেন।  

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২৪’ উদযাপন কমিটির সভাপতি, বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা, ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা, পরিচালকরা, হল প্রভোস্টরা, শিক্ষকরা, দপ্তর ও শাখা প্রধানরা, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের সামাগ্রীক কল্যাণ কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল হয়।

এ প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৭ সালে খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৭৪ সালে এর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি), খুলনা হিসেবে রূপান্তরিত হয়। সর্বশেষ ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১  , ২০২৪
এমআরএম/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।