ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবির ইতিহাস বিভাগে ওসমানী স্মারক বক্তৃতা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১২

ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের উদ্যোগে ‘বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানী স্মারক বক্তৃতা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার ঢাবির আরসি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।



বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শরিফ উল্লাহ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবীর ওসমানী ফান্ডের বোর্ড অব ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিরিন হাসান ওসমানী।

এছাড়া ‘Bangladesh Economy at forty’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আকসাদুল আলম।

উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবীর এম এ জি ওসমানীসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকল বীরদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদানের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

তিনি গণতন্ত্র চর্চা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যেই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে।
 
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম স্মারক বক্তৃতায় বলেন, স্বাধীনতার চল্লিশ বছরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেক দূর এগিয়েছে। প্রতি বছর গড়ে ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বেড়েছে।

১৯৮৫ সালে বার্ষিক মাথাপিছু আয় ছিল ২২২ মার্কিন ডলার, বর্তমানে যা ৭৭০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। ১৯৮৫ সালে রফতানি আয় ছিল ৭ শতাংশ, যা বেড়ে বর্তমানে ৩০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত ৪০ বছরে সামগ্রিকভাগে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধনের ফলে মানুষের আত্মনির্ভরশীলতা বেড়েছে।

তিনি বলেন, দুর্নীতি রোধ, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি, সরকারি কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে পারলে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করবে।

এক্ষেত্রে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্বারোপ করেন মির্জা আজিজুল ইসলাম।
 
অনুষ্ঠানে বিভাগের ৬ জন মেধাবী ও অস্বচ্ছল ছাত্রছাত্রীকে ‘জেনারেল ওসমানী মেমোরিয়াল বৃত্তি’ প্রদান করা হয়।

বৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন- মো. হাসিবুর রহমান, উম্মে হাবিবা ইয়াসমিন, ফাহমিদা জান্নাত সিদ্দিকা, নয়নতারা তৃপ্তি, মো. মোস্তাক রব্বানী ও তানিয়া সুলতানা।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ‘বঙ্গবীর এম এ জি ওসমানী আইটি সেন্টার’ এর উদ্বোধন করা হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এ সেন্টার উদ্বোধন করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে ‘বঙ্গবীর ওসমানী ট্রাস্ট’ এর আর্থিক সহযোগিতায় এই আইটি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১২
এমএইচ/ সম্পাদনা: কাজল কেয়া, নিউজরুম এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।