ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ফেল করা শিক্ষার্থীদের দায়িত্বও আমার: শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১২
ফেল করা শিক্ষার্থীদের দায়িত্বও আমার: শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা: পাবলিক পরীক্ষায় ভালো প্রতিষ্ঠানের মাপকাঠি ইতোমধ্যে পরিবর্তন করে অনেকখানি সর্বজনীন করা হয়েছে। আরো সঠিক করার প্রচেষ্টা চালানো হবে।

তবে আমি শতভাগ ছাত্রছাত্রীর হিসাব চাই। ফেল করা, ঝরে পড়া ছাত্রছাত্রীরাও আমার শিক্ষার্থী। তাদের দায়িত্বও বহন করতে হবে।

মঙ্গলবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ড আয়োজিত জেএসসি পরীক্ষা-২০১১, এসএসসি পরীক্ষা-২০১২ ও এইচএসসি পরীক্ষা-২০১২-এর শীর্ষ ২০ প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এসব কথা বলেন।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনষ্ঠানে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, সিটি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ড. ফরাশ উদ্দিন, ঢাকা কমার্স কলেজের সভাপতি প্রফেসর শফিকুল আহমেদ সিদ্দিক, ঢাকা নটরডেম কলেজের অধ্যক্ষ প্যাট্রিক ডি কস্তা, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ আয়েশা বেম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “এদেশের পাবলিক পরীক্ষায় গুণগত পরিবর্তন এসেছে। এখন এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ পূর্ব নির্ধারিত ও সুনির্দিষ্ট করা আছে। তা যথাক্রমে ১ ফেব্রুয়ারি ও ১ এপ্রিল। ফলাফল ৬০ দিনের মধ্যে। বিগত ৮টি পরীক্ষায় তার কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। নকলমুক্ত পরীক্ষার পাশাপাশি এখন পরীক্ষা হয় উৎসবমুখর পরিবেশে। দীর্ঘ অধ্যবসায়ের পর কঠোর সাধনার ফল পাবার উৎসব এটি। ”

মন্ত্রী বলেন, “এখন পরীক্ষার হলগুলোতে যে কেউ ইচ্ছা করলেই ঢুকে পড়তে পারে না। ৯০ শতাংশের অধিক প্রতিষ্ঠানে এখন ৫০ শতাংশের অধিক শিক্ষার্থী পাশ করে। রাজধানী ও বিভাগীয় শহরের বাইরের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন ভালো ফলাফল করছে। ”

তিনি বলেন, “আমরা পরীক্ষার সংখ্যা কমিয়েছি। এখন আর ৫ম ও ৮ম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষা দিতে হচ্ছে না। এখন সব ছাত্রছাত্রীদের প্রতি যত্ন নিয়ে ভালো ফলাফল করানোর চেষ্টা করা হয়। ”

নাহিদ বলেন, “জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে বর্তমান সরকার এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি গুণগত পরিবর্তন সাধন করতে সক্ষম হয়েছে। এখন প্রতিবছর জানুয়ারিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সোয়া তিন কোটি ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ২৩ কোটি নতুন বই তুলে দিয়ে ক্লাস শুরু করা, ১ জুলাই কলেজের ক্লাস শুরু করা, সৃজনশীল পদ্ধতির প্রশ্নপত্র চালু, কারিকুলাম যুগোপযোগী করা, সর্বস্তরে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা, ২০ হাজার ৫০০ স্কুলে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ চালু, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে শিক্ষাখাতের পরিবর্তন সাধিত হয়েছে এবং হচ্ছে। ”

তিনি বলেন, “তবে এখনো আমাদের সংগ্রাম শেষ হয়নি। সর্বস্তরে মানোন্নয়নের চ্যালঞ্জ, ছাত্রছাত্রীদের স্কুল-কলেজে ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ, উচ্চ শিক্ষার চ্যালেঞ্জ, কারিগরি শিক্ষার সম্প্রসারণের চ্যালেঞ্জ আমাদের আছে। ”

মন্ত্রী শিক্ষকদের নিবেদিতপ্রাণ হয়ে নতুন প্রজন্মকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত প্রযুক্তিতে দক্ষ নৈতিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ দেশপ্রেমিক সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

২০১১ সালের জেএসসি পরীক্ষায় শীর্ষ ২০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
১ম রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ২য় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, ৩য় মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ, ৪র্থ ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ৫ম ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ, ৬ষ্ঠ ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ, ৭ম বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ৮ম ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কঠেজ, টাঙ্গাইল, ৯ম সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১০ম ময়মনসিংহ জেলা স্কুল, ১১তম হলিক্রম গার্লস হাই স্কুল, ১২তম বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ১৩তম মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ১৪তম মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ১৫তম সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজ, ১৬তম এন কে এম হাই স্কুল অ্যান্ড হোমস, নরসিংদী, ১৭তম উত্তরা হাই স্কুল, ১৮তম বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ১৯তম গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল এবং ২০তম টংগী শফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজ।

২০১২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় শীর্ষ ২০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
১ম রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ২য় সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ৩য় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ৪র্থ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ৫ম ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, ৬ষ্ঠ মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ, ৭ম মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ৮ম মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, ৯ম ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ, ১০ম ময়মনসিংহ কলেজ, ১১তম গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ১২তম মতিঝিল মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ১৩তম হলিক্রস গার্লস হাই স্কুল, ১৪তম সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৫তম উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৬তম মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ১৭তম ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ১৮তম বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ১৯তম শহীদ বীর উত্তম লেঃ আনোয়ার গার্লস কলেজ এবং ২০তম ধানমন্ডি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়।


২০১২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় শীর্ষ ২০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
১ম রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ২য় আব্দুল কাদির মোল্লা, ৩য় ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ, ৪র্থ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ৫ম নটরডেম কলেজ, ৬ষ্ঠ ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, ৭ম মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ, ৮ম ঢাকা সিটি কলেজ, ৯ম ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজ, ১০ম এসওএস হারম্যান মেইনার কলেজ, ১১তম মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ১২তম হলিক্রস কলেজ, ১৩তম ক্যামব্রিয়ান কলেজ, ১৪তম শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ, ১৫তম ঢাকা কলেজ, ১৬তম শহীদ বীর উত্তম লেঃ আনোয়ার গার্লস কলেজ, ১৭তম বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ১৮তম ঢাকা কর্মাস কলেজ, ১৯তম সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ২০তম আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১২

এমএন/সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।