ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিটি করল সরকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪
প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিটি করল সরকার

ঢাকা: প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়ন, প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত উন্নয়ন এবং শিখন-শেখানো কার্যক্রমের উৎকর্ষ সাধনের জন্য একটি কনসালটেশন কমিটি গঠন করেছে সরকার।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এই কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়ন, প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত উন্নয়ন এবং শিখন-শেখানো কার্যক্রমের উৎকর্ষ সাধনের জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞ এবং প্রাথমিক শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে কনসালটেশন কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদকে আহ্বায়ক করে নয় সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির সদস্যরা হলেন—সরকারের প্রাক্তন সচিব এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলোজির রেজিস্ট্রার এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর প্রাক্তন মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. রফিকুজ্জামান, প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমেদ, গণসাহায্য সংস্থার পরিচালক (শিক্ষা) সামসি হাসান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক শিক্ষা উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ইরাম মারিয়াম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব মোরশেদ, শিবরাম আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. নূরুল আলম। কমিটিতে সদস্যসচিব হিসেবে থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (বিদ্যালয়)।

কমিটির কার্যপরিধি:
প্রাথমিক শিক্ষায় বিদ্যমান শিখন-শেখানো কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম, গবেষণা এবং সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো পর্যালোচনা; প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অংশীজনদের সাথে মতবিনিময়পূর্বক প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনা কাঠামোর সময়ভিত্তিক প্রয়োজনীয় সংস্কারের চাহিদা নিরূপণ; প্রাথমিক শিক্ষায় শিখন-শেখানো কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম, গবেষণা এবং ব্যবস্থাপনা কাঠামোর টেকসই মানোন্নয়ন ও উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন; উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষায় বিদ্যমান কার্যক্রম ও ব্যবস্থাপনা কাঠামো পর্যালোচনা এবং উৎকর্ষ সাধনের নিমিত্ত সুপারিশ প্রণয়ন।

কমিটি কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে মতামত ও পরামর্শ গ্রহণের প্রয়োজনে কোনো বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ বা প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী/শিক্ষক/সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সভায় আমন্ত্রণ জানাতে পারবে, ঢাকায় বা ঢাকার বাইরে কর্মশালা আয়োজন করতে পারবে এবং প্রয়োজনে প্রাথমিক শিক্ষা ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট যে কোনো প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে পারবে।

প্রজ্ঞাপন জারির তিন মাসের মধ্যে কমিটি কার্যক্রম সম্পন্ন করবে এবং বাস্তবসম্মত সুপারিশসহ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করবে; কোন কর্মশালা/সেমিনার/সভা আয়োজন করা বা কোন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের প্রয়োজন হলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ ছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কমিটিকে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক ও সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে।

কনসালটেশন কমিটি সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সম্মানি প্রাপ্য হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।