ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাকা বোর্ডের টপ টেনে ময়মনসিংহের ৩ স্কুল

এম.আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১২
ঢাকা বোর্ডের টপ টেনে ময়মনসিংহের ৩ স্কুল

ময়মনসিংহ: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ ও বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ঢাকা বোর্ডের টপ টেনে এ স্কুলের স্থান যথাক্রমে তৃতীয়, চতুর্থ ও অষ্টম।

   

জেএসসি’তে এ চমৎকার ফলাফলের মধ্যে দিয়ে এ ৩ স্কুল তাদের অর্জনের খাতায় যোগ করেছে সাফল্যের আরেকটি সোনালী পালক।

ময়মনসিংহ জিলা স্কুল: ঢাকা বোর্ডে তৃতীয় স্থান দখল করেছে এ স্কুলটি। এ স্কুল থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৭৫ জন। পাস করেছে সবাই। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২১ জন।

এ স্কুলের জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৌশিক রায় চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, “এ ফলাফলে আমি খুব খুশি। সাফল্যের পেছনে রয়েছে আমার মা-বাবা’র অবদান। আমি বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চাই। মানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। ”

ঐতিহ্যবাহী ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. ইউনুছ ফারুকী বাংলানিউজকে বলেন, “স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রয়াসে এ অসাধারণ ফলাফল অর্জিত হয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে পদক্ষেপ ও মান সম্মত শিক্ষক নিয়োগের ফলেই এ অসাধারণ ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। ”

ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ: ঢাকা বোর্ডে চতুর্থ স্থান দখল করেছে এ কলেজটি। এ কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৫১ জন। পাস করেছে সবাই। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭ জন।

সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত এ ক্যাডেট কলেজের কিশোরী ক্যাডেটরা শুরু থেকেই শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা ও নিরলস পড়ালেখার মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ফলে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মতো জেএসসিতেও কিশোরী ক্যাডেটরা ভালো ফলাফল অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ক্যাডেট কলেজের নোটিশ বোর্ডে ফলাফল সাঁটিয়ে দেওয়ার পর পরই আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে মেধাবী কিশোরী ক্যাডেটরা। নেচে-গেয়ে কিংবা চিৎকার চেঁচামেচি করে প্রকাশ করে আনন্দে মেতে ওঠে।

ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রিন্সিপাল আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, “কৃতি ক্যাডেটদের এ ফলাফলে আমি উচ্ছ্বসিত। এখানে ক্যাডেটদের একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন অনুসরণ করতে হয়। আর শৃঙ্খলাবদ্ধ যে সাফল্যের অন্যতম শর্ত, জেএসসি’র ফলাফলে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। ”

জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা বাংলানিউজকে বলেন, “শিক্ষকরা সব সময় দেখাশুনার মধ্যে রাখায় এ ফল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতেও আমি এ ধারা অব্যাহত রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবো। ”

বিদ্যাময়ী সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়: ঢাকা বোর্ডে ৮ম স্থান দখল করেছে এ স্কুলটি। এ স্কুল থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৮০ জন। পাসের হার শতভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯৯ জন।

এ স্কুলের জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শরীফা সুলতানা ও মাধবী পণ্ডিত বাংলানিউজকে বলেন, “এ ফলাফলে আমরা খুব খুশি। সাফল্যের পেছনে রয়েছে পরিবারের অবদান বেশি। ”

এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিরিন বানু বাংলানিউজকে বলেন, “শিক্ষকম-লি ও শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত পরিশ্রম ও চেষ্টার মাধ্যমেই এ ফলাফল অর্জিত হয়েছে। ঢাকা বোর্ডে ৮ম স্থান অর্জন করায় আমি ময়মনসিংহবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ”

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১২
সম্পাদনা: প্রভাষ চৌধুরী, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।