ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘বিনিয়োগ না করে শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রগতি সম্ভব নয়’

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৩

জাবি: শিক্ষা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ না করে অগ্রগতি সম্ভব নয়। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষকদের বেতন ভাতাসহ সার্বিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন করা হলে শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন সম্ভব।



মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে শিক্ষানীতি’২০১০ বিষয়ক জাতীয় কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন।

মেনন বলেন, ‘‘শিক্ষা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করবো না, কিন্তু শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নত করবো তা হয় না। শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন করতে হলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। শিক্ষকদের যথাযথ বেতন ভাতা প্রদান করতে হবে। তাহলে শিক্ষার মান উন্নয়ন করা সম্ভব। ’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘৪০ বছর পর এই প্রথম প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে। শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি একটি সার্বজনীন শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত অভিন্ন শিক্ষা কারিকুলাম চালু করা হয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠি, আদিবাসীদের শিক্ষার মূল ধারায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আদিবাসী শিশুদের জন্য নিজ ভাষায় শিক্ষা লাভের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। ’’

প্রধান অতিথি বলেন, ‘‘শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে এর সুফল পাওয়া যাবে। সরকার এ বিষয়ে মনোযোগ দিয়েছে। একটি শিক্ষা আইন চালু করার বিষয়ে সরকার চিন্তা ভাবনা করছে। শিক্ষাকে কলুষমুক্ত করতে হলে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে। মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। উন্নত দেশগুলোতে শিক্ষাখাতে মোট জিডিপি’র ২০ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হলেও আমাদের শিক্ষাখাতে এর পরিমান মাত্র ২.৫ শতাংশ। ’’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য বিরেন শিকদার বলেন, ‘‘বর্তমান সরকার ২০১২ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছে এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে সবার আগে এর জনগোষ্ঠিকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। আমাদের সরকার গঠন হওয়ার পর পরই জনগোষ্ঠিকে শিক্ষিত করে তোলার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে। ’’

তিনি বলেন, ‘‘আমরা একটি শিক্ষানীতি প্রনয়ন করেছি। এই শিক্ষানীতিতে মানুষের মননশীলতাকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা চাই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। ’’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এশিয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রদীপ প্রোজেক্টের চিফ অব পার্টি রাসেল পেপে বলেন, ‘‘বিভিন্ন নীতি প্রণয়নে জনগণের অংশগ্রহণের গুরুত্ব নিয়ে এশিয়া ফাউন্ডেশন বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এশিয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রদীপ প্রোজেক্ট কাজ করছে। ’’

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘‘উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করে। এজন্য উচ্চশিক্ষায় সরকারের বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি করতে হবে। ’’

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আইনুন নাহার এবং সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এস এম নূরুল আলম।

কর্মশালায় নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. ছিদ্দিকুর রহমান, নাসির উদ্দিন, সায়েমা খাতুন এবং মুজীবুল আনাম সম্পাদিত শিক্ষানীতি পর্যালোচনা সম্পর্কিত গবেষণা প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সভাপতি ড. কে এম মহিউদ্দিন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ কর্তৃক এ গবেষণা পরিচালিত হয়। গবেষণায় অর্থায়ন করেছে দ্যা এশিয়ান ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ-এর
 ‘Promoting Democratic Institutions and Practices (PRODIP)’ শিরোনামের কর্মসূচি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৩
সম্পাদনা: মাহাবুর আলম সোহাগ, নিউজরুম এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর [email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।