ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ট্রেন ছেড়ে দিয়ে আলোচনায় পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৩

সিলেট: আটকে রাখা ট্রেনটিকে ছেড়ে দিয়েছেন সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। পরে তারা ইনস্টিটিউটের সম্মেলনকক্ষে শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন।

এদিকে আটকে থাকা ট্রেনটি রেলেলস্টেশনে পৌঁছায় রেল যোগাযোগও স্বাভাবিক রয়েছে।

ফেল করা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পাস করিয়ে দেওয়ার দাবিতে সিলেট রেলস্টেশনের অদূরে একটি ট্রেন অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। দু’ঘণ্টা ট্রেনের সামনে রেললাইনে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে শিক্ষকদের আহ্বানে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে আলোচনায় বসেন।

এর আগে সকাল ১০টায় ফেল করা শিক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দেওয়ার দাবিতে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করেন কয়েকশ’ শিক্ষার্থী। ছাতক থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি সিলেট স্টেশনে প্রবেশের এক কিলোমিটার আগে রেললাইন অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা ট্রেনটি থামান।

শিক্ষার্থীরা জানান, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এক সেমিস্টারের পরীক্ষায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে শিক্ষকরা ইচ্ছে করে ফেল করিয়ে দিয়েছেন। এতে এসব শিক্ষার্থীদের ৬ মাস পিছিয়ে পড়তে হবে বলে তারা অভিযোগ করেন।

শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি জানিয়ে বলেন, যেসব শিক্ষার্থী ড্রপ আউটের শিকার হয়েছেন, তাদের পাস করিয়ে পরবর্তী সেমিস্টারে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে। ট্রেন ছেড়ে দিলেও তাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও এ সময় তারা জানান।

সিলেট রেলস্টেশনের মাস্টার মুহিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কয়েকশ’ ছাত্র ট্রেনটি থামিয়ে বিক্ষোভ করেন। তারা ট্রেনটি ঘিরে রাখেন। পরে আলোচনার ভিত্তিতে তারা সরে যান। ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছে অবস্থান করছে।
একাডেমিক কোনো দাবিতে শিক্ষার্থীরা ট্রেন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন বলে তিনি জানান। দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ ও জিআরপি পুলিশ এখনও ঘটনাস্থলে রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের দাবিকে অহেতুক উল্লেখ করে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সুশান্ত কুমার বসু বাংলানিউজকে বলেন, সারা দেশে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলো একই নিয়মে পরিচালিত হচ্ছে। ছাত্রদের প্রবিধান অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা ঠিক রয়েছে। এ নিয়ে ছাত্রদের আন্দোলন করা ঠিক নয়।

অধ্যক্ষ জানান, চার সেমিস্টারের এক সেমিস্টারে ১৮ থেকে ১৯ জন শিক্ষার্থী তিনটির বেশি বিষয়ে ফেল করেন। এসব ফেল করা শিক্ষার্থী নেতৃত্ব স্থানীয় হওয়ায় কয়েকশ’ ছাত্রকে আন্দোলনের দিকে নিয়ে গেছেন।

তবে ট্রেন আটকে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘কিছু উশৃঙ্খল শিক্ষার্থী কয়েকশ’ শিক্ষার্থীকে আন্দোলনের দিকে নিয়ে যান। সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হলেও তারা তা না মেনে ট্রেন আটকে দেন। পরে আমরা তাদের বুঝিয়ে-শুনিয়ে আলোচনার টেবিলে এনেছি। ’’

পরিস্থিতির সমাধানে বেলা ১২টার পরে অবরোধকারী ১০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে আলোচনায় বসা হয়েছে বলেও জানান অধ্যক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৩
এসএ/ সম্পাদনা: জনি সাহা, নিউজরুম এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর- [email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।