ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

উন্নত শিক্ষায় রামকৃষ্ণ সারদা মিশনারি বিদ্যাপীঠ

কলকাতা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৩
উন্নত শিক্ষায় রামকৃষ্ণ সারদা মিশনারি বিদ্যাপীঠ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কলকাতা: প্রত্যেক বাবা-মা স্বপ্ন দেখেন তার সন্তান যেন উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে। মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশের সুনামের ধারা অক্ষুন্ন রাখতে পারে।

বাঙালির এই স্বপ্ন স্বার্থক করে তুলতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সংলগ্ন নদীয়া জেলার রানাঘাটের পূর্ণনগরে গড়ে উঠেছে “রামকৃষ্ণ সারদা মিশনারি বিদ্যাপীঠ। ”

যেসব বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী প্রকৃতভাবে শিক্ষিত হয়ে জীবন গড়ার জন্য ভারতে পড়াশোনা করতে আগ্রহী তাদের জন্য  সঠিক ঠিকানা হতে পারে রামকৃষ্ণ সারদা মিশনারি বিদ্যাপীঠ|

এই বিদ্যাপীঠটি পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ পাঠক্রম অনুযায়ী শিশু শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করে চলেছে ১৯৯৫ সাল থেকে। স্কুলটি আরো আধুনিকীকরণের উদ্দেশ্যে ২০১২ সালে সোসাইটি ফর মডেল গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র অধিগ্রহণ করে।

এরপর একটি নতুন পরিচালন‍া পর্ষদ গঠন করে প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার কাজে ইতোমধ্যে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। আগামী ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে শিশু বিভাগ থেকে ইংরেজি মাধ্যমে সিবিএসসি পাঠক্রম চালু করছে।

এই স্কুলটি মধ্যবিত্ত মানুষের চাহিদা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের যে কোন আবাসিক স্কুলের চেয়ে খরচ অনেক কম। এই স্কুলে বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তিরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

স্কুলটির অবস্থান: বাংলাদেশের স্থল সীমান্ত দর্শনা পার হয়ে এপারে গেদে রেল স্টেশন। রেলে যেতে ৩০-৩৫ মিনিট পরেই  রানাঘাট রেল জংশন। কলকাতার শিয়ালদহ থেকে রেলে রানাঘাট যেতে সময় লাগে ২ ঘণ্টা। ভাড়া ২০ রুপি। রানাঘাট মহকুমা শহর সংলগ্ন ধানতলা- দত্তপুলিয়া সড়কের পাশে পূর্ণনগর ফুলবাজার। রানাঘাট স্টেশন থেকে তিন কিলোমিটার দূরেই পূর্ণনগর ফুলবাজার।

স্বল্পব্যয়ে অথচ বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষাদান দেওয়া হয় প্রাকৃতিক পরিবেশসমৃদ্ধ বিদ্যালয়টিতে। নার্সারি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কম্পিউটার শিক্ষার উপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকা দিয়ে বাংলা মাধ্যমে পঠন-পাঠন দেওয়া হয়।

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক পৃথক ছাত্রাবাসের ব্যবস্থা আছে। মাসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও যোগব্যায়ামেরও ব্যবস্থা আছে।     প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর প্রতিভা অনুযায়ী সামগ্রিক ব্যক্তিত্ব বিকাশের কর্মসূচির পাশাপাশি নিয়মিতভাবে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের বৈঠক করা হয়।

সময়োপযোগী বৃত্তিমূলক শিক্ষার পাশাপাশি     খেলাধূলা, শরীরচর্চা ও শিক্ষামূলক ভ্রমণ ব্যবস্থা আছে। রয়েছে মেধাবী এবং দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীর জন্য বিশেষ সুবিধা।

দূর-দূরান্তের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি লক্ষ্য রেখে স্কুলে তৃতীয় শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির জন্য বোডিং এর ব্যবস্থা আছে। বালক এবং বালিকাদের জন্য আলাদা ভবনে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। অভিভাবকদের জন্যও আলাদা থাকার ব্যবস্থা আছে। অর্থাৎ সবার জন্যই থাকা এবং খাওয়ার বন্দোবস্ত রয়েছে।  

ভর্তির পদ্ধতি: ভর্তি ফর্মপূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ভর্তির জন্য স্কুল কার্যালয়ে জমা দিতে হয়। লোয়ার নার্সারি বালক-বালিকাদের জন্য শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। অন্যদের জন্য লিখিত পরীক্ষা।

লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলেই শুধু স্কুলে ভর্তি করা হয়। তবে সিট থাকলে উচ্চ শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়। ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় কখনই ভর্তির ক্ষেত্রে বিবেচ্য নয়। প্রতিবন্ধী বা মানসিকভাবে অসুস্থ কোন ছাত্রকে ভর্তি করা হয় না।  

ভর্তির সময় ব্যয়:- লোয়ার নার্সারি/আপার নার্সারি বোর্ডিং অ্যাডমিশনসহ ভারতীয় ৫৮১০ রুপি। স্কুলের মাসিক ফি ৩০০ রুপি। রামকৃষ্ণ সারদা মিশনারি বিদ্যাপিঠের পক্ষে সেক্রেটারি গণেশ মোদক জানান বাংলাদেশের যে ছাত্র-ছাত্রী এই স্কুলে ভর্তি হবে তাদের অভিভাকরা যদি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম থেকে কোন সার্টিফিকেট আনেন তবে অ্যাডমিশন ফি থেকে ২০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে। স্কুলের ফর্ম অনলাইনেও পাওয়া যাচ্ছে- E-mail: [email protected]/[email protected]
যোগাযোগ: ০০৯১৯২৩১০৮২৩১০

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৩,
সম্পাদনা: সুকুমার সরকার, আউটপুট এডিটর কো-অর্ডিনেশন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।