ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ইফতারের টাকা চেয়ে মিললো ছাত্রলীগের উত্তম-মধ্যম

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১৪
ইফতারের টাকা চেয়ে মিললো ছাত্রলীগের উত্তম-মধ্যম

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধনের কর্মীরা ইফতার অনুষ্ঠানের জন্য আর্থিক সাহায্য চেয়ে ছাত্রলীগের কাছ থেকে উত্তম-মধ্যম পেয়েছেন।

 

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় বাঁধন কর্মীদের মারধর ও লাঞ্ছিত করেন রাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ডিলস।

 

রাবির বাঁধন সূত্র জানান, হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে রক্তদান বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য শুক্রবার মাদার বখশ হল শাখা বাঁধনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইফতার অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয় সংগঠনটি। এ জন্য 

শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে তাদের আমন্ত্রণ ও সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ সহায়তার আহ্বান জানানো হয়।

 

একইভাবে হলের ছাত্রলীগ নেতা হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ডিলসকে ইফতারের আমন্ত্রণ জানিয়ে তাকেও অর্থ সহায়তার আহ্বান জানান বাঁধন কর্মীরা।  

এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে রাত ১১টার দিকে অনিক, তরিকুলসহ ছাত্রলীগের ১০-১৫ জন নেতাকর্মী বাঁধনের কর্মীদের হলের ছাদে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে তাদের লাঞ্ছিত ও মারধর কর‍া হয়। এ নিয়ে কারো কাছে নালিশ করলে তাদের হাত-পা ভেঙে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় ডিলস। পরে বাঁধনের নেতৃবৃন্দ গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন।

 

বাঁধনের উপদেষ্টা রাকিব হাসান বাংলানিউজকে বলেন, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে বাঁধন সবসময় ছাত্রলীগের সহযোগিতা পেয়েছে। কিন্তু ডিলস বরাবরই আমাদের কাজে বাধা দিয়ে আসছেন। ছাত্রলীগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

 

তবে বাঁধন কর্মীদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করলেও তাদের ছাদে ডেকে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন ছাত্রলীগ নেতা ডিলস। তিনি বলেন, ইফতার পার্টির জন্য বাঁধনের ছেলেদের চাঁদা তুলতে নিষেধ করেছিলাম। তারা কথা শোনেনি।

 

এ বিষয়ে রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান রানা বাংলানিউজকে বলেন, আমি এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানি না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

ছাত্রলীগ নেতা ডিলসের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করা, হলের কর্মচারীদের মারধর ও জোর করে ডাইনিংয়ে ফ্রি খাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ছাত্রত্ব শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তিনি হলে অবস্থান করছেন।  

 

গত ২ ফেব্রুয়ারি বর্ধিত ফি ও সান্ধ্যকোর্স বিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এ ঘটনায় গ্রেফতার হলেও বর্তমানে জামিনে রয়েছেন তিনি।

 

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।