ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বগুড়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের খাতাসহ আটক ৩

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২২ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৪
বগুড়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের খাতাসহ আটক ৩ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বগুড়া: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান পরীক্ষার খাতাসহ ৩জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে দু’টি সাদা খাতা উদ্ধার করা হয়।



সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বগুড়ার পুলিশ সুপার(ভারপ্রাপ্ত) মো. সাইফুজ্জামান ফারুকী সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

আটককৃতরা হলেন-নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার নওদাপাড়া এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে টিপু সুলতান(২৫), পশ্চিম নওদাপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে এনামুল হক(২৪) ও একই জেলার লালপুর উপজেলার বেরিলাবাড়ী এলাকার ফরজ উদ্দিনের ছেলে মো. পলাশ(২১)।

এদের মধ্যে টিপু সুলতান নাটোর নবাব সিরাজউদ-দৌলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র, এনামুল একই কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষ এবং পলাশ প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।

ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার নেতৃত্বে জেলার গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার সময় বগুড়া শহরের এডওয়ার্ড পার্ক থেকে প্রথমে খাতাসহ টিপু সুলতানকে, পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সোমবার ভোর ৩টার দিকে শহরের মালতীনগর এম.এস. ক্লাব মাঠ এলাকার দু’টি ছাত্রনিবাস থেকে এনামুল ও মো. পলাশকে আটক করা হয়েছে।

তিনি দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে আটককৃতরা টাকার বিনিময়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে বগুড়ার আজিজুল হক কলেজ এবং শাহ সুলতান কলেজসহ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীদের এ ধরনের অবৈধ সহযোগিতা করে আসছে। অবৈধ আর্থিক সুবিধা নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় অসৎ কর্মকর্তা সাদা খাতা পাঠিয়ে দেয় এ ধরনের চক্রের কাছে। পরে এই চক্রটি শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী খাতা লিখে দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা লেখা এই খাতাটি পরীক্ষার্থীর আগের খাতার জায়গায় স্থানান্তর করেন। আর এজন্য বিষয় প্রতি প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পায় চক্রটি।

এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হবে। এছাড়া এর সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের ব্যাপারেও খোঁজখবর করা হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে আটককৃতরা জানান, তারা শহরের সুমন নামের এক ছাত্রের কাছ থেকে খাতাগুলো পেয়েছেন। তবে কে এই সুমন কি তার পরিচয়, তাৎক্ষণিক ভাবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারেননি তারা।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, জেলার গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক(এসআই) শাহীন মিয়াসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।   

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, জুলাই ২১,২০১৪ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।