ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

একটি কক্ষে সীমাবদ্ধ কুবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি

কুবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৪
একটি কক্ষে সীমাবদ্ধ কুবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি

কুবি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রশাসনিক ভবনের ৫ম তলার একটি মাত্র কক্ষে চলছে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠার নয় বছরেও সমৃদ্ধ হয়নি লাইব্রেরিটি।



বর্তমানে কুবির ১৭টি বিভাগে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতি বছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পরিসর। প্রয়োজনীয় বইয়ের সংখ্যাও ততটা বাড়েনি। এতে চরম বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

লাইব্রেরিতে ৩৭টি বইয়ের তাক রয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য ৮টি টেবিল ও ৪০টি চেয়ার রয়েছে। বেশিরভাগ সময় আসন পেতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অনেকে আসন না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হন। বই সংকটের কারণে শিক্ষকদের দেওয়া নির্দিষ্ট বই পাওয়া যায়না লাইব্রেরিতে।

লাইব্রেরিতে ১৬টি জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা, অল্প সংখ্যক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ম্যাগ্যাজিন রাখা হয়েছে যা শিক্ষার্থীদের চাহিদার তুলনায় নগণ্য।

বই ও আসন সংকট কাটিয়ে উঠতে লাইব্রেরির জন্য আলাদা ভবনের দাবি শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা জানায়, অনেক সময় চেয়ার থেকে উঠে সেলফে বইয়ের জন্য গেলে নিজের আসনটি হারাতে হয়।

লোক প্রশাসন বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী উম্মে খাদিজা তানিয়া বলেন, আমরা শিক্ষকদের দেওয়া মৌলিক বইগুলো পর্যন্ত  লাইব্রেরিতে খুঁজে পাচ্ছিনা। আনেক সময় এসে দাঁড়িয়ে থেকে আসন না পেয়ে চলে যেতে হচ্ছে।

অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী কোরবান আলী বলেন, অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির তুলনায় আমাদের বিশ্ববিদ্যায়ের লাইব্রেরি অনেক ছোট। লাইব্রেরির জায়গা বড় করে আসন সংখ্যা বাড়ানো দরকার।

গণিত বিভাগের স্নাতকোত্তর বর্ষের শিক্ষার্থী আবু নাহিদ ইবনে হাসেম বলেন, আমাদের অনেক প্রয়োজনীয় বই লাইব্রেরিতে খুঁজে পাচ্ছিনা। একটি বিষয়ের ওপর একাধিক লেখকের বইও নেই।

ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান মহীউদ্দিন মোহাম্মদ তারেক ভূঁইয়া বলেন, HEQEP এর আওতাভুক্ত ৮০ লাখ টাকার একটি প্রস্তাবনা দিয়েছি। এ প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হলে লাইব্রেরির কাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, গত উপাচাযের্র সময়ে লাইব্রেরির আলাদা ভবনের জন্য একটি DPP (Development project proposal) করা হয়েছিল। সমন্বয় হীনতার কারণে তা বাস্তবায়ন হয়নি।

বর্তমান উপাচার্য নতুন করে DPP জমা দিয়েছেন। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় অনুমোদন করলে তা বাস্তবায়িত হবে এবং একটি আধুনিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন কুবি রেজিস্ট্রার।

উপাচার্য প্রফেসর ড. আলী আশরাফ রেজিস্ট্রার বলেন, একটি আধুনিক লাইব্রেরি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আমাদের আছে। আমরা সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব করেছি। বাজেটে বরাদ্ধ পেলে লাইব্রেরি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।