জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): প্রায় এক সপ্তাহ লাইফ সাপোর্টে ধাকার পর শুক্রবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে না ফেরার দেশে চলে গেলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের ছাত্রী মোসা. স্বপ্না খাতুন।
লিভার ইনফ্লামেশনে আক্রান্ত হয়ে রাত পৌনে ৯টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
স্বপ্নার সহপাঠী শরিফুল কবির বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে স্বপ্নাকে তার গ্রামের বাড়ি নাটোরের বনপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হবে।
নাটোরের বনপাড়া উপজেলার ঢুলিয়া গ্রামের কৃষক সবের আলী ও মালেকা বেগমের মেয়ে স্বপ্না দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার ছোট। দুই ভাই তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
২০১১ সালের ২ সেপ্টেম্বর বরাইগ্রাম উপজেলা পরিষদের সাট-মুদ্রাক্ষরিক রাফিউর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় স্বপ্নার।
বিয়ের পর উচ্চ শিক্ষার স্বপ্নে বিভোর স্বপ্না ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগে।
প্রথম বর্ষের পরীক্ষার ফলাফলে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন স্বপ্না। এরপর থেকেই মেধাবী স্বপ্নাকে ঘিরে সম্ভাবনার আলো দেখতে থাকেন শিক্ষক ও সহপাঠীরা।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। শরীরে তীব্র ব্যথা নিয়ে ফিরে যান জাহানারা ইমাম হলে। ব্যথা কমাতে বেশ কয়েকটি প্যারাসিটামল সেবন করে ঘুমিয়ে পড়েন।
এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রচণ্ড বমি, জ্বর ও চোখে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হন সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও তার বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সার্বক্ষণিক তার খোঁজ-খবর নিয়েছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য অর্থও সংগ্রহ করেছিলেন তারা। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে মৃত্যু দেশে পাড়ি দিলেন তিনি।
স্বপ্নার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় ও তার বিভাগে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৫