ঢাকা: হরতালের টার্গেট এখন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষা। আবারও হরতাল বেড়েছে ৪৮ ঘণ্টা।
মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবারের পরীক্ষার সিদ্ধান্ত জানানো হবে বুধবার।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোটের ডাকা টানা হরতাল শুক্রবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এসএসসিতে আট সাধারণ বোর্ডের অধীনে বিজ্ঞান/সাধারণ বিজ্ঞান, উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়), মাদ্রাসা বোর্ডে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা রয়েছে।
এসএসসি ভোকেশনালে নতুন সিলেবাসের ট্রেড-২ (দ্বিতীয় পত্র) ৩১টি এবং পুরাতন সিলেবাসে ট্রেড-২ (দ্বিতীয় পত্র) আরও ৩১টি বিষয়ের পরীক্ষা রয়েছে।
আর এসএসসি দাখিল রয়েছে ট্রেড-১ (দ্বিতীয় পত্র) এর ৩১টি এবং ট্রেড-১ (দ্বিতীয় পত্রে) মোট ৩১ বিষয়ের পরীক্ষা।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা অবরোধের মধ্যেই বিভিন্ন দাবিতে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে সপ্তাহের প্রতি কর্মদিবসে হরতাল পালন করছে বিএনপি জোট। হরতালের কারণে গত ২, ৪, ৮, ১০, ১২, ১৫, ১৮, ২২, ২৪ ও ২৬ ফেব্রুয়ারির পরীক্ষা বাধাগ্রস্ত হয়।
সপ্তাহের প্রতি কর্মদিবসে হরতালের কারণে ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার পরীক্ষাগুলো গ্রহণ করা হচ্ছে। চলতি বছর ২৭ হাজার ৮০৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৬৬ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পর্যায়ের এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। পরীক্ষার সময় হরতাল না দেওয়ার জন্য বরাবরই আবেদন-নিবেদন করে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতালে ২০১৩ সালে এসএসসির ৩৭টি বিষয় এবং এইচএসসির ৪১টি বিষয়ের পরীক্ষা পেছানো হয়। ওই বছরের জেএসসি-জেডিসির ১৭টি বিষয় এবং প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপণীর দুটি বিষয়ের পরীক্ষা হরতালের কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়।
গত বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত জেএসসি-জেডিসি এবং প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী পরীক্ষাও বিএনপির হরতালের কবলে পড়ে। হরতালে জেএসসি-জেডিসির চার দিনে নয়টি বিষয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে যায়।
চলতি বছরের এসএসসির লিখিত পরীক্ষা আগামী ১১ মার্চের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে হরতালের দিনের পরীক্ষা পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে ৬ মার্চ। পরবর্তী পরীক্ষাগুলো আরও পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা।
আর এপ্রিলে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি পরীক্ষা নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫