ঢাকা: মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পের আওতায় সারা দেশের ৪৫ লাখ মানুষকে আনুষ্ঠানিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরির জন্য সমতাস্থাপক শিক্ষা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে শিক্ষা বিষয়ক বেসরকারি সংস্থাগুলোর জোট গণসাক্ষরতা অ্যাসোসিয়েশন।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) অ্যাসোসিয়েশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের আগ্রহের কথা জানান।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পের আওতায় যারা কখনও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হননি এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়েছেন (তৃতীয় শ্রেণির নিচে) এরকম ১১ থেকে ৪৫ বছর বয়সী মোট ৪৫ লাখ নিরক্ষর কিশোর ও বয়স্কদের ৬৪ জেলায় মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রদান করা হবে। সরকারিভাবে এতে ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে চারশ’ কোটি টাকা।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ‘সবার জন্য শিক্ষা’র জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার প্রেক্ষাপটে প্রণীত ‘জাতীয় কর্মপরিকল্পনা-২’ এবং ‘দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বাস্তবায়নে নিয়োজিত সব পর্যায়ের সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বাস্তবায়নের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ তৈরিতে সহায়তা করাও এর উদ্দেশ্য।
এসময় গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, ব্র্যাকের ভাইস চ্যান্সেলর অ্যান্ড এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী, ডিরেক্টর অ্যাডুকেশন শফিকুল ইসলাম, ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ’র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জাহিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী মানুষকে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা দেওয়ার জন্য তারা প্রস্তাব করেছেন।
পাইলট প্রকল্প হিসেবে এ নিয়ে তারা কাজ করতে চান বলেও জানান রাশেদা কে চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৫