ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ক্যাম্পাসে এক নারী সাংবাদিককে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাসুম বিল্লাহর ওপর হামলা করা হয়। এঘটনায় জড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চার শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া ওই ঘটনায় জড়িত আরও চারজনকে কেন বহিষ্কার করা হবে না এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।
বুধবার (১১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অভিযুক্ত সব শিক্ষার্থীই হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ছাত্রলীগের সভাপতি মাকসুদ রানা মিঠুর সমর্থক বলে জানা যায়।
এদিকে ঢাবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ বাংলানিউজকে জানান, চারজনকে সাময়িক বহিষ্কার করে বাকি চারজনকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে এদের অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নারী সাংবাদিককে উত্যক্ত করা ও প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাসুম বিল্লাহ। বুধবার দুপুরে আরেকটি অভিযোগ দেন উত্যক্ত ওই নারী সাংবাদিক। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নেয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন: অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের আলী আব্বাস, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তাসনিম হাসান তুহিন, শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের কামরুল হাসান এবং দুর্যোগবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শাহরিয়ার নাজিম শাওন। এরা সবাই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাকসুদ রানা মিঠুর অনুসারী।
এদের কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ওই ঘটনায় জড়িত দর্শন বিভাগের বাহাউদ্দিন রাদিক ও শাহরিয়ার সনেট, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের আতিকুর রহমান ও উর্দু বিভাগের আব্দুল হাকিমকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হবে।
গত সোমবার বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ইংল্যান্ডকে পরাজিত করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার আনন্দে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় জড়ো হয় কয়েক হাজার মানুষ।
এসময় মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের ওই কর্মীরা সেখানে উপস্থিত কয়েকজন নারী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীদের লাঞ্ছনা ও জোর করে রং মাখিয়ে দেওয়ায় ঘটনা ঘটায়। এক পর্যায়ে তাদের এহেন কর্মকাণ্ডের শিকার হন একজন নারী সাংবাদিক। সেখানে উপস্থিত ওই ছাত্রীর বন্ধু ও বিভাগের জুনিয়ররা প্রতিবাদ জানালে তাদের ওপরও চড়াও হয় ছাত্রলীগের একদল কর্মী।
উত্ত্যক্তকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাসুম বিল্লাহ এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মেহেদী হাসান মাথায় গুরুতর আঘাত পান। তারা দু’জনেই এ মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৪