রাবি(রাজশাহী): ‘বৈচিত্রে ঐক্যের অন্বেষা’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলা ভবনের সামনে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।
এরপর শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শহীদদের শ্রদ্ধায় পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে উদ্বোধনী অধিবেশন শুরু হয়। মঙ্গল-প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আব্দুল খালেক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ, বাংলা সমিতি ও বাংলা গবেষণা সংসদ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলা গবেষণা সংসদের সভাপতি প্রফেসর খন্দকার ফরহাদ হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবি উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপউপাচার্য প্রফেসর সারওয়ার জাহান। সঞ্চালনা করেন সম্মেলন কমিটির সদস্যসচিব প্রফেসর পিএম সফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বাংলা বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-ভারতের বিভিন্ন সাহিত্যিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলা ভাষাকে আরো উন্নতির দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এইরকম উদ্যোগ খুবই ফলদায়ক। দুই বাংলার সংস্কৃতির মিলিত চর্চার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যের উৎকর্ষ সাধন সম্ভব হবে।
বক্তারা আরো বলেন, আমাদের মূল ভাষা বাংলার উন্নতি সাধনের জন্য প্রান্তিক ভাষা অর্থাৎ দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের ভাষারও উন্নতি করা দরকার। এর মাধ্যমে আমাদের মুক্ত চিন্তা শক্তির বিকাশ ঘটবে।
দুদিনব্যাপী এই সম্মেলনের ১৩টি অধিবেশনে বাংলা সাহিত্য: বাংলাদেশ, বাংলা সাহিত্য : পশ্চিমবাংলা, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচনা : সীমাবদ্ধতা ও উত্তরণ, ‘অভিবাসী বাংলা সাহিত্য’, ‘বাংলার লোক সাহিত্য’, বাংলা সাহিত্যের ভাষা, বাংলাদেশের অন্যান্য ভাষার সাহিত্য, অনুবাদ সাহিত্য, ক্ষমতা ও সাহিত্য : নারী, শিশু, শ্রেণি, সম্প্রদায় ও নৃগোষ্ঠী ইত্যাদি বিষয়ে প্রায় ৫০টি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে বলে নির্ধারিত আছে। সম্মেলনে বাংলাদেশ ও ভারত থেকে শতাধিক কবি-সাহিত্যিক, ভাষাবিদ ও গবেষক অংশ নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৫