ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) স্নাতক প্রথম বর্ষে খেলোয়াড় কোটায় ভর্তির জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সনদ জালিয়াতি করেছে দুই শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রীড়া কোটায় সনদ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি জালিয়াতির বিষয়টি খুঁজে পায়।
জালিয়াতি ধরা পড়ায় ওই সব ভুয়া সনদ বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সনদ জালিয়াতিতে জড়িত দুই শিক্ষার্থী হলেন- মেহেদী হাসান রয়েল এবং শাহী শাহনুর হামিদ।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, ক্রীড়া কোটায় ভর্তি সমন্বয়কারীর সভায় ভর্তিচ্ছুদের জমা দেওয়া সনদ যাচাই-বাছাই করার জন্য অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সদস্যরা ১৬ এপ্রিল ভর্তিচ্ছুদের দাখিল করা সনদ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বাফুফে ও বিকেএসপি অফিসে যান। এ সময় দুই শিক্ষার্থীর সনদ ভুয়া প্রমাণিত হয়।
এদিকে, এ ঘটনা জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সোহেলের বিরুদ্ধে জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তদন্ত সাপেক্ষে যেকোন শাস্তি মেনে নিতে রাজি আছি আমি’।
কোটা ভর্তি সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘আমরা বাফুফে ও বিকেএসপিতে গিয়ে সনদ যাচাই-বাছাই করেছি। এতে দুই ভর্তিচ্ছুর সনদ ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৫
এমজেড/