বাকৃবি (ময়মনসিংহ): বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন-ভাতা তুলতে পারছেন না। উপাচার্যের পদ শূন্য থাকায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
নারী কেলেঙ্কারি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগে আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের ৭ এপ্রিল অধ্যাপক ড. রফিকুল হক উপাচার্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এতে এ পদটি শূন্য হয়ে যায়।
সাবেক উপাচার্য পদত্যাগের এক মাসেও নিয়োগ দেওয়া হয়নি নতুন উপাচার্য। এতে এপ্রিল মাসের বেতন-ভাতা তুলতে পারছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা।
এদিকে, সবাইকে ধৈর্য্য ধারণ করতে অনুরোধ করে ২৯ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও ব্যক্তিদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস।
বেতন-ভাতা না পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বেতন-ভাতা না পাওয়ায় সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। দৈনন্দিন কার্যক্রমসহ সবকিছুতেই সমস্যা হচ্ছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবার আয়ের উৎস চাকরির বেতন-ভাতা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবদুল খালেক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন-ভাতার জন্য প্রতি তিন মাস পর পর টাকা আসে। এ টাকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের স্বাক্ষর প্রয়োজন। কিন্তু উপাচার্য না থাকায় সেই টাকা তোলা সম্ভব হচ্ছে না।
এছাড়া, এপ্রিল, মে ও জুন মাসে বরাবরই টাকার সমস্যা হয়। তাই লোন করে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়। কিন্তু উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে এ উপায়কেও কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান রেজিস্ট্রার।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৫
এমজেড