টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্র নিহতের ঘটনায় ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ ঘটানায় প্রফেসর ড. শরিফ এনামুল কবিরকে প্রধান করে ৫ সদস্যের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন- রসায়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের এসএম রবিউল হাসান সাজু, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের ওমর ফারুক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের মনিরুল ইসলাম মনির ও একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের আশিকুর রহমান, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের মোহাইমিনুল কাইয়ুম ও একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের ওমর ফারুক, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের এমএ আহাদ খান ও বাবু কিশুর দে এবং ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের সাইদুর রহমান।
অপরদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত ছাত্র মোশারফের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে তার মামাতো ভাই আব্দুল লতিফের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার মুজাটি চরপাড়াতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এএসকে মোশারফ আহত হয়। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত মোশারফ মারা যায়।
এই প্রথম মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী সংঘর্ষে মারা গেল। বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল মোশারফের লাশ ময়মনসিংহের নিহতের গ্রামের বাড়ি নিয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৫
এসএইচ