ঢাকা: অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর কোনো প্রতিষ্ঠান আবেদন করতে ‘বাধ্য‘ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
বুধবার (১০ জুন) জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) অডিটোরিয়ামে ‘পেয়ার ইন্সপেকশন বিষয়ক জাতীয় কর্মশালা’ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
নাহিদ বলেন, গতবছর এসএসসি’র ফলাফলের পর ভর্তি প্রক্রিয়ায় শৃঙ্খলা আনতে ও কম খরচে বেশি কলেজে শিক্ষার্থীদের আবেদন করার সুযোগ দিতে এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তি আবেদন শুরু করা হয়।
এবার এসএমএসসের সঙ্গে অনলাইনে ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী বছর এসএমএস নয় সম্পূর্ণ অনলাইনে আবেদন করা যাবে। সব প্রতিষ্ঠানে অনলাইনের সুবিধা থাকবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার প্রথম অনলাইনে ভর্তি আবেদন শুরুর পর কোনো কোনো দুষ্ট লোক মেধাবীদের নামে আবেদন করে বসে আছে। প্রযুক্তির অপব্যবহারে এমনটা হচ্ছে। তবে কোনো শিক্ষার্থী এ বিষয়ে অভিযোগ করলে সঙ্গে সঙ্গে তা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানান নাহিদ।
তবে ‘দুষ্ট লোক বা বন্ধুরা’ মেধাবী কোনো শিক্ষার্থীর নামে বিভিন্ন কলেজে অনলাইনে ভর্তি আবেদনের বিষয়টি স্বীকার করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থী হয়তো জানেই না, তার নামে ভর্তি আবেদন করে বসে আছে অন্য কেউ। মাত্র ক’টাকার বিনিময়ে মজা বা ইচ্ছে করেই এ কাজ করা হচ্ছে।
মেধাবী শিক্ষার্থীকে ভর্তি করতে অসাধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব করছে এমন প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সে তো ভালো ছাত্র, ভালো কলেজে ভর্তি হতে চাইবে।
জোর করে কোনো প্রতিষ্ঠান আবেদনে ‘বাধ্য’ করলে সে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে অভিযোগ দিতে বলেন মন্ত্রী। যদি অভিযোগ করা হয় তাহলে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী আশ্বস্ত করেন, প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী এমন অভিযোগ করলে তা বাতিল ও বিকল্প হিসেবে তার আবেদন নেওয়া হবে। কোনো শিক্ষার্থী অনলাইন আবেদনে এ রকম ক্রুটি বা সমস্যার মুখোমুখি হলে ওই শিক্ষার্থী অনলাইন ছাড়াও ম্যানুয়ালি ভর্তি আবেদন করতে পারবে।
নাহিদ জানান, অনলাইনে ভর্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থী তার যোগ্যতা, দক্ষতার প্রমাণ দেবে। বৃদ্ধি পাবে শিক্ষার গুণগত মান ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম।
অনলাইনে ভর্তির ক্ষেত্রে শুরুতেই নিখুঁত করে ফেলবো তা আশা করা সমীচীন হবে না। যেসব ক্রুটি সামনে আসছে তা দ্রুত সমাধান করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
অনলাইন পদ্ধতি এ বছরের জন্য স্থগিত করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, স্থগিত করার কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, করবো কেন? বরং অনলাইনে ভর্তি আবেদন করাতে ভর্তি প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়েছে।
অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়ায় ক্রুটি সম্পর্কে নাহিদ বলেন, আমরা এর আগে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করিনি বলে একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে ধীরে ধীরে তা কেটে যাবে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহারে দু’নম্বারির সুযোগ কম থাকে, স্বচ্ছ হয়। তবে এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উভয়ই উপকৃত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৫
আরইউ/টিআই