ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ সদর উপজেলার লেতু মন্ডল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও বর্তমান রেক্টর রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতির মাধ্যমে বিদ্যালয়কে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে রূপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্থানীয় অভিভাবক ও সচেতন মহলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের ১৭জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে ১৪ জনই রেক্টরের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়। এর মধ্যে রেক্টরের দুই মেয়ে, চার চাচাতো ভাই ও দুই মামাতো ভাই। বাদ বাকীরাও তার নিকটাত্মীয়।
স্থানীয় বীরমুক্তিযোদ্ধা হযরত আলী জানান, রেক্টর অনিয়ম-দুর্নীতি করে বিদ্যালয়ের লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করছে। বর্তমানে সে নিজের অনুগত পকেট কমিটি করে সিনিয়র ও অভিজ্ঞ শিক্ষকদের বাদ দিয়ে নিজের মেয়েকে প্রধান শিক্ষক করার জন্য পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে।
স্থানীয় অধ্যাপক হাসান আলী বাবুল বাংলানিউজকে বলেন, রফিকুল ইসলাম প্রধান শিক্ষক পদে পাঁচ বছর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করার পর পকেট কমিটির সুপারিশে রেক্টর পদ ভাগিয়ে নিয়ে বিদ্যালয়টিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। এখন সে প্রভাব খাটিয়ে সিনিয়র শিক্ষকদের বাদ দিয়ে নিজের অনভিজ্ঞ মেয়েকে প্রধান শিক্ষক করার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তোতা বলেন, নেতৃত্বে যারা থাকে তারা বেশি সুবিধা নেয় এটাই স্বাভাবিক। এ কারণেই রেক্টরের আত্মীয়-স্বজন বিদ্যালয়ে চাকরি করছে। তবে নিয়োগ বোর্ডে স্বচ্ছতার মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
অভিযোগসমূহের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের রেক্টর রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার আত্মীয় হলেও যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়ম বিধি মোতাবেকই শিক্ষক-কর্মচারী পদে তাদের চাকরি হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক পদে নিজের মেয়েকে বসানোর চেষ্টার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক পদে ১০ জন দরখাস্ত করেছেন। যার যোগ্যতা আছে তারই চাকরি হবে। আর আমার বাপ-দাদার সম্পত্তি আছে। লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের প্রশ্নই উঠে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৫
বিএস