ঢাকা: মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থায় ২০১২ সালে প্রণীত নতুন কারিকুলামে এমবিবিএস পেশাগত পরীক্ষায় ‘ক্যারি অন সিস্টেম’ পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
সম্মেলনে সংগঠনটির মুখপাত্র স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী তাজ মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, ২০০২ সালের প্রণীত কারিকুলাম অনুযায়ী-একজন শিক্ষার্থী প্রথম পেশাগত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জনের পরেই দ্বিতীয় পেশাগত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারতেন।
তিনি জানান, কারিকুলামে এমবিবিএস পেশাগত পরীক্ষা আছে ৩টি। একজন শিক্ষার্থী কোনো বিষয়ে উত্তীর্ণ না হলেও ৬ মাস পর অনুষ্ঠিত সাপ্লিমেন্টারিতে কৃতকার্য হলে তার শিক্ষাবর্ষ পিছিয়ে পড়তো না। কিন্তু ২০১২ সালের প্রণীত নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী-একজন শিক্ষার্থী প্রথম সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে তিনি তার শিক্ষাবর্ষ থেকে ৬ মাস পিছিয়ে যাবেন।
নতুন কারিকুলামে এসব পিছিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম সম্পর্কে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা নেই বলেও দাবি করেন মঞ্জুরুল হক।
মেডিকেল শিক্ষার্থীর জানান,`ক্যারি অন সিস্টেম’ চালু না হলে প্রতি বছর প্রায় ২ হাজার ইন্টার্ন চিকিৎসকের সংকট দেখা দেবে এবং সময় মতো বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারলে গ্রামে চিকিৎসক সংকট দেখা দেবে।
এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন স্বাভাবিক করতে নতুন কারিকুলামে ‘ক্যারি অন সিস্টেম’ পুনর্বহালের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান, মাসুদ জাবের, বিপ্লব মালাকার, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের রাশিক আহমেদ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী প্রিয়াংকা নওশীন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৫
এফবি/আইএএ/টিআই