বাকৃবি (ময়মনসিংহ): বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছাত্রীদের আবাসিক হলগুলোতে বেশ কয়েকদিন ধরেই বেড়েছে সাপের উপদ্রব। এ নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছে আবাসিক হলের ছাত্রীরা।
হল প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ করেও প্রতিকার পায়নি বলে অভিযোগ ওইসব হলের ছাত্রীদের।
অভিযোগ অস্বীকার করে হলের প্রভোস্টরা জানান, হলের ভেতরে ও বাহিরে ময়লা আবর্জনা, নোংড়া ড্রেন, ঝোপ-ঝাড় ও ছাত্রীদের রান্নার বর্জ্যের কারণে সাপের উপদ্রব হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সুলতানা রাজিয়া (আনেক্স) হলের আবাসিক ছাত্রীরা অভিযোগ করে জানান, হলের ভেতরের মাঠে ঘাসে ভরে গেছে। হলের বাইরেও ঝোপ-ঝাড়ে ছেয়ে গেছে। হলে বেশ কয়েকজন মালি থাকার পরও নিয়মিত মাঠ পরিস্কার করা হয় না। এমনকি হলের বর্জ্যও নিয়মিত পরিস্কার করা হয় না। এতে করে হলের পরিবেশ সব সময় নোংরা থাকলেও গত কয়েক সপ্তাহ থেকে হঠাৎ করে সাপের উপদ্রব বেড়ে গেছে।
তারা জানান, শুক্রবার (৩১ জুলাই) সকালে হলের পত্রিকা কক্ষের সামনে ও সি ব্লকের সামনে দু’টি সাপ মারা হয়েছে। জুন মাসে হলের ১১/ঘ নং কক্ষে একটি বিষধর সাপ দেখতে পাওয়া যায়। হলের ১১৩, ১১৬ ও ১১৭ নং কক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি সাপ মারা হয়েছে। এছাড়াও এ ব্লকের সামনে প্রায় সারা বছরই সাপ দেখা যায়।
এদিকে, বেশ কয়েকদিন আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব হলের নিচ তলা থেকে শুরু করে পাঁচ তলায় সাপ দেখা গেছে। এনিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
শুধু তাই নয়, ছাত্রীদের সুলতানা রাজিয়া (মূল ভবন) হল ও তাপসী রাবেয়া হলেও মাঝেমধ্যে সাপ দেখা যায়। কিন্তু বিষয়টি হল প্রশাসনকে বারবার জানানো হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ ওই হলের ছাত্রীদের।
সুলতানা রাজিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, হলে দুইজন লোক দিয়ে সব কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার থেকে অতিরিক্ত লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, হলটি পুরাতন ও টিনসেডের হওয়ায় সাপ কক্ষের ভেতরেও প্রবেশ করছে। কার্বলিক এসিড ছিটিয়ে দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। তাই কক্ষগুলোর জানালায় নেট লাগানো হচ্ছে। আশা করছি দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৫
এমজেড/