জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: শোকের মাসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন করছে ছাত্র ইউনিয়ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪তম আবর্তনের নবীনবরণ উপলক্ষে সোমবার (২৫ আগস্ট) এই সাংস্কৃতিক পরিবেশনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, নবীনবরণ অনুষ্ঠান থেকে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা বাদ দেওয়ার জন্য ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ছাত্রলীগ। শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও বিষয়টি অবহিত করেছেন।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়ার জন্য সোমবার বিকেলে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন করেছে ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরী, ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাবেক সভাপতি সৈকত শুভ্র আইচ মমন, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি হাসান তারেক।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় গান করবেন মেঘদল, মাদল, সায়েম জয় ও সিনা।
আর শোকের মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক পরিবেশনাকে ভালোভাবে নিতে পারছেন না বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা নবীনবরণ অনুষ্ঠান থেকে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা বাদ দেওয়ার জন্য ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শোকের মাসে এ ধরণের অনুষ্ঠান কাম্য নয় উল্লেখ্য করে তারা বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও অবহিত করেছেন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহমুদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শোকের মাসে এই ধরণের অনুষ্ঠান কাম্য নয়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছি। আয়োজকদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছি। যেহেতু জাতীয় শোক দিবস ও শোকের মাস আমরা দলমত নির্বিশেষে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে থাকি, সেহেতু আমরা আশা করছি তারা আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সাংস্কৃতিক পরিবেশনাটি বাদ দিবে। তারা যেহেতু প্রগতিশীল চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসী, সেহেতু আমরা তাদের কাছে এটা আশা করতেই পারি।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু গোটা জাতির। তাকে হত্যার এই শোকের মাসে আমরা আশা করি না, বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের কোনো অনুষ্ঠান হোক।
এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি তন্ময় ধর বলেন, আগস্ট মাস যেমন শোকের মাস তেমন প্রতিবাদেরও মাস। জাতির জনক হত্যার পর প্রথম প্রতিবাদ করেছিল কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্র ইউনিয়ন। বিষয়টি আমাদের মাথায় আছে এবং আমরা বিষয়টি মাথায় নিয়েই প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক পরিবেশনাটি চালাচ্ছি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, শোকের মাসে এ ধরনের অনুষ্ঠান করা ঠিক নয়। বিষয়টি আমরা অবগত নই।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৫
এইচএ/