ঢাকা: প্রাথমিকের পাঠ্যবই ছাপাতে বিশ্বব্যাংকের পাঁচ শর্তের চারটি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কাজ শুরু করতে সম্মত হয়েছে। ছাপানো শুরু হবে শিগগিরই।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র পাল বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) বাংলানিউজকে বলেন, প্রকাশকেরা পাঠ্যবই ছাপানোর জন্য ‘নো অবজেকশন লেটার’ দিয়েছেন। তারা কার্যাদেশ গ্রহণ করেছেন।
এনসিটিবি সূত্র জানায়, ২০১৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রাথমিকে ১১ কোটি ৩৫ লাখ ৫শ ৮৬ কপি বই ছাপানো হবে। ৩শ ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দের মধ্যে ২শ ২১ কোটি টাকায় বই ছাপানোর কাজ পায় দেশীয় ২২টি প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে বিশ্বব্যাংক দেবে ৯ শতাংশ, অর্থাৎ, ১৮ কোটি টাকা।
কিন্তু গত ১৭ আগস্ট বিশ্বব্যাংক জামানত ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ, কাগজ কেনার পর বিশ্বব্যাংকের কারিগরি শাখা কাগজের মান ও ফর্মা পরীক্ষা, উপজেলা পর্যায়ে যাওয়া বইয়ের মান পরীক্ষার শর্ত দেয়। মান পরীক্ষার পর সন্তোষজনক হলে বিল পরিশোধ করার কথা জানায় বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংকের শর্তের কারণে বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির অপারগতায় কার্যাদেশ দিতে পারছিলো না এনসিটিবি।
এ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার মধ্যে গত ৩১ আগস্ট শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিশ্বব্যাংক ও এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) প্রতিনিধি, এনসিটিবি, প্রকাশক ও প্রেস মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী, শিক্ষা ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশকেরা মানসম্পন্ন পাঠ্যবই ছাপাবেন জানালে বিশ্বব্যাংক চারটি শর্ত প্রত্যাহার করে নেয়। তবে জামানতের শর্তটি বহাল রেখে বই ছাপানোর সম্মতি দিয়েছে মুদ্রণ শিল্প সমিতি।
মুদ্রণ শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান শহীদ সেরনিয়াবাত বাংলানিউজকে বলেন, আমরা মানসম্মত বই ছাপাবো। বিষয়টি বিশ্বব্যাংক অবগত। বিশ্বব্যাংকের ১৫ শতাংশ জামানতের শর্তে আমরা বৃহস্পতিবার থেকে বই ছাপানোর কাজ শুরু করব।
জটিলতা তৈরির পর এবার দেরিতে বই ছাপানোর কাজ শুরু করায় বছরের প্রথম দিন সব শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান জানান, বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীরা যাতে বই পায় সে ব্যাপারে প্রতিশ্রুত দিয়েছেন প্রকাশকেরা।
শহীদ সেরনিয়াবাত বলেন, সময়মতো বই সরবরাহ করতে আমরা কাজ করব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৫
এমআইএইচ/এএ
** হুমকি প্রকাশকদের, বিশ্বব্যাংকের পক্ষে মন্ত্রী
** পাঠ্যবই ছাপানোর সংকট কাটলো