জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: পেশাগত দায়িত্ব পালনে নারী-পুরষের কোনো পার্থক্য নেই। যে কোনো দায়িত্ব পালনে নারীরা সক্ষম।
একথা বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় ফার্মগেটের কৃষিবিদ মিলনায়তনে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ‘প্রথম নারী উপাচার্য’ হিসেবে পাক্ষিক অনন্যার সম্মাননা পেয়ে তিনি অনুভূতি ব্যক্ত করেন এভাবে।
অনুষ্ঠানে ভিন্ন ভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ১১ জন নারীকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য তার বক্তব্যে আরও বলেন, একজন নারীর সামনে বৃহৎ পরিসরের কোনো দায়িত্ব এলে তা তাকে গ্রহণ করতে হবে। নারী-পুরুষের সহযোগিতার মাধ্যমে নারীর দায়িত্ব পালন সহজ হয়। দায়িত্ব পালনের ব্যর্থতার দায়ভার কোনো নারীর একক নয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অনন্যার সম্পাদক তাসমিমা হোসেন। ‘অনন্যা সম্মাননা’ হিসেবে ১১জন নারীর হাতে সম্মাননা পদক ও র উত্তরীয় পরিয়ে দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক।
‘অনন্যা শীর্ষ এগারো-২০১৪’ সম্মাননা প্রাপ্ত অন্যরা হলেন- অধ্যাপক লায়লা নূর (ভাষাসংগ্রামী), অধ্যাপক খালেদা একরাম (বুয়েটের প্রথম নারী উপাচার্য), মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি (রাজনীতি), ডা. তাহমিনা বানু (চিকিৎসা), রোকসানা সুলতানা (সমাজসেবা), ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ (আইন ও মানবাধিকার), নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা (ভিজ্যুয়াল আর্ট), সালমা খাতুন (নারী ক্রিকেট), নাইমা হক এবং তামান্না-ই-লুৎফিকে (দেশের প্রথম নারী সামরিক পাইলট) এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
এছাড়া অনন্যার সাবেক নির্বাহী সম্পাদক, সাংবাদিক ও নারী অধিকারকর্মী দিল মনোয়ারা মনুকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনন্যার পক্ষ থেকে ১৯৯৩ সাল থেকে এ সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২শ জনের বেশি নারীকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৫
এএ
** অনন্যা সম্মাননা পেলেন ১২ কীর্তিমান নারী