ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র জালিয়াতির চেষ্টায় আরও ১০ জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) রাত থেকে শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল পর্যন্ত মোট ২৫ জনকে আটক করা হলো।
এদিকে, ঢাবির ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির দায়ে এক পরীক্ষার্থীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এএম আমজাদ বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রক্টর জানান, দণ্ড পাওয়া শিক্ষার্থীর নাম হাসিবুর রহমান শামু। তিনি মোহাম্মাদপুর গভমেন্ট মডেল স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। পরীক্ষার সময় তিনি ক্ষুদ্র ডিজিটাল ডিভাইসের সাহায্যে জালিয়াতি করছিলেন। পরে তাকে আটক করা হলে দায়িত্বরত ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।
অন্যদিকে, শুক্রবার বিকলে রাজধানীর পুরান ঢাকা থেকে সবশেষ ১০ জনকে আটক করা হয়। তারা প্রশ্নপত্র জালিয়াতি চক্রের সদস্য বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারের উপ-কমিশনার মোনতাসিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতভর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাসহ তেজতুরী বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোট ১২ জনকে আটক করা হয়।
এদিকে, জবি ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বন করার অভিযোগে আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আব্দুর রউফ বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।
ঢাবিতে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের অধীনে প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি আসনে লড়েন ৪৩ জন ভর্তিচ্ছু। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ৫৬টি ও ক্যাম্পাসের বাইরে ঢাকা শহরের ২০টি স্কুল-কলেজসহ মোট ৭৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ইউনিটের ১ হাজার ৬শ’ ৬০টি আসনের জন্য ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর সংখ্যা ৭১ হাজার ৩শ’ ৫০ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৫, আপডেট ১৮১৬
এনএ/এসএ/আইএ
** জবি ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ
** মোবাইল ফোনে উত্তরপত্র, আটক ৩