ঢাকা: বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করতে মত দিয়েছেন বক্তারা।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) ‘কারিগরি শিক্ষায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের সংযুক্তি’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারা এ মতামত ব্যক্ত করেন।
কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর, বাংলাদেশ স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড প্রোডাক্টিভিটি (বি-সেপ) প্রজেক্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের (আইএলও) যৌথ আয়োজনে অধিদফতরের সভাকক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন- কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, বোর্ডের পরিচালক আলমগীর হোসেন, ফেরদৌস আলম, বাবর আলী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী, আইএলও প্রতিনিধি।
কর্মশালায় দেশের ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিক ও ৬৩টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, বর্তমান সময় প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার যুগ। সরকার কারিগরি শিক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় শিক্ষার্থী ভর্তির হার ২০২০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশে উন্নীত করার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে। ইতোমধ্যে ১৩.৪৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন ও প্রসারে সরকার নানামূখী উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, কারিগরি শিক্ষার এ উন্নয়নের ধারায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদেরকেও যুক্ত করা হবে। তাদের জন্য উপযোগিতা বিবেচনা করে বিশেষ বিশেষ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে তাদেরকে একেক জনকে সক্ষম মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
কর্মশালায় বলা হয়, ইতোমধ্যে কারিগরি শিক্ষার ভর্তি নীতিমালায় তাদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করা আছে।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে র্যাম্প (বিশেষ সিড়ি), প্রবেশগম্য টয়লেট, ক্লাসরুম, ব্রেইল বই, ইশারা ভাষা ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হবে। এসব শিক্ষার্থীর প্রতি করুণা নয়, সহানুভূতির দৃষ্টিতে তাকাতে হবে। বার্ষিক বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখার বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৫
এমআইএইচ/বিএস