জয়পুরহাট: তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে শিক্ষকের অমানবিক মারধরের শিকার শিশু সাজুর জীবন থেকে হারিয়ে গেলো একটি মূল্যবান বছর। শিক্ষকের মারধরে গুরুতর আহত হওয়ার কারণে এ বছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিএসসি) অংশ নিতে পারেনি সে।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনা তুলে ধরেন সাজুর বড় বোন মোছা. রেহেনা খাতুন।
সাজু জয়পুরহাট সদর উপজেলার মীর গ্রামের দরিদ্র কৃষক আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে ও তেঘড়া দন্ডপানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাজুর বোন বলেন, গত ৩ নভেম্বর সাজুর স্কুলের শিক্ষক ও একই এলাকার বাসিন্দা নূরুল ইসলামের বাড়িতে তার নাতনী রিভা আক্তারের কাছ থেকে একটি খেলনা কেড়ে নেয় সাজু। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নূরুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা লাঠি দিয়ে সাজুমে বেদম মারধর করেন। একপর্যায়ে সাজুর গোপনাঙ্গে প্রচণ্ড আঘাত লাগলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
এ সময় তার আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে সাজুকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অর্থাভাবে সেখানে চিকিৎসা করাতে না পেরে সাজুকে অসুস্থ অবস্থাতেই বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়।
এ অবস্থায় গত ২২ নভেম্বর থেকে পিএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও অসুস্থ থাকায় সাজু পরীক্ষা দিতে পারেনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সাজুর মা মালেকা বানু, খালা অলেদা বানুসহ গ্রামের বেশ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি।
এদিকে, মারধরের ঘটনায় সাজুর মা মালেকা বানু বাদী হয়ে গত ১৪ নভেম্বর আদালতে একটি মামলা করেন। কিন্তু ওই শিক্ষক পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৫
এসআর