ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

নোট-গাইড বই বন্ধের দাবিতে পাথরঘাটায় মানববন্ধন

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৬
নোট-গাইড বই বন্ধের দাবিতে পাথরঘাটায় মানববন্ধন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পাথরঘাটা(বরগুনা): বরগুনার পাথরঘাটায় নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বই বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে পৌর শহরের শেখ রাসেল স্কয়ারে রোববার(২৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।



মানববন্ধনে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, আইনজীবী, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজসহ দেড় সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেয়।

পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, আমিন সোহেল, জাফর ইকবাল, মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান, নবনির্বাচিত পৌর কাউন্সিলর মুনিরা ইয়াসমিন খুশি, মোসাফেফর হোসেন বাবুল, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা মিলন, আইনজীবী নূরুল ইসলাম, শিক্ষক আবুল বাশার আজাদ, রক্তের বন্ধনের সভাপতি রুহি আনান দানিয়াল প্রমুখ।

পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক পাঠে আগ্রহ করে তোলার লক্ষে সরকার নোট-গাইড নিষিদ্ধ করেছে। এ ব্যাপারে সরকারের কঠোর আইন রয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে ওই আইন বাস্তবায়নের দাবি জানাই। একই সঙ্গে নিম্নমানের গ্রামার ও ব্যাকরণ শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, কিছু অসাধু শিক্ষকদের কারণে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে নোট ও গাইড নির্ভর হয়ে পড়ছে। ফলে, শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে যেমন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি অভিভাবকরা আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই সৃজনশীল শিক্ষা ববস্থার জন্য নোট ও গাইডের বিরুদ্ধে আমরা শিগগিরই প্রশাসনের ব্যবস্থা দেখতে চাই।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা আলম বলেন, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত নোট ও গাইড নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তাছাড়া সরকার বিনামূল্যে গ্রামার ও ব্যাকরণ বইও দিচ্ছে। তাই আলাদাভাবে ব্যাকরণ ও গ্রামার কেনার প্রয়োজন নাই।  

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম হায়দার বলেন, প্রাথমিক পর্যায় দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত নোটগাইড নিষিদ্ধ করেছে। সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থায় নোটগাইডের প্রয়োজন নেই, শ্রেণি কক্ষেই পাঠদান চূড়ান্ত হয়ে যায়।

বরগুনা জেলা প্রশাসক মীর জহুরুল ইসলাম বলেন, নোটগাইড আইনত নিষিদ্ধ। পাথরঘাটাসহ পুরো জেলায় নোট-গাইড বন্ধে শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৬
পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।