ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষার মূল লক্ষ্য জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
শিক্ষার মূল লক্ষ্য জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: শিক্ষার মূল লক্ষ্য জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন। যে শিক্ষায় এটা নেই তা কোনো কাজে আসে না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।



বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের ‘হীরক জয়ন্তী’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষার মাধ্যমে জীবনের লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্য ছিল সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ গড়া। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের আপামর জনগণের উন্নয়ন হয়েছে। স্বাস্থ, শিক্ষা, যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। আর্থিকভাবে এখনও দরিদ্র থাকলেও আমাদের নতুন প্রজন্ম বিশ্বের যে কোনো প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সক্ষম।

বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের বর্ণনা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, গতানুগতিক শিক্ষার পরিবর্তে কারিগরি শিক্ষার ওপর সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। এর ফলে বর্তমানে ১২ শতাংশ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষায় পড়াশুনা করছে যা আগে ছিল মাত্র ১ শতাংশ। পরিকল্পনা নিয়ে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। বৈষম্য দূর করে বছরের শুরুতে ধনী-গরিব সব ছেলে-মেয়ের হাতে বই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের নৈতিক মূল্যবোধ এবং মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করার গুণ অর্জন করতে হবে। আমাদের চিন্তাধারা, সাংস্কৃতিক ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে। ছেলে-মেয়ের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা গেলে তারা সমানতালে কাজ করতে সক্ষম, এটা এখন প্রমাণিত।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, তালুকদার আবদুল খালেক এমপি, মন্নুজান সুফিয়ান এমপি এবং খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ। সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবদুল আলীম। স্বাগত বক্তৃতা করেন উপাধ্যক্ষ ও অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর মো. মঞ্জুরুল ইসলাম।

১৯৪০ সালের ১৮ জুলাই প্রয়াত রায় বাহাদুর মহেন্দ্র কুমার ঘোষ এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রথমে এর নাম ছিল রাজেন্দ্র কুমার গার্লস কলেজ। খুলনা করোনেশন গার্লস স্কুলে প্রথম ক্যাম্পাস এবং খুলনা সিটি ল’ কলেজে ২য় ক্যাম্পাস ছিল।

১৯৬৫ সাল থেকে বর্তমান বয়রাস্থ নিজস্ব ক্যাম্পাসে কার্যক্রম শুরু করে সরকারি মহিলা কলেজ। পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালে জাতীয়করণ (সরকারিকরণ) করা হয় ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটিকে।

সরকারি মহিলা কলেজের বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতকসহ ১২টি বিষয়ে অনার্স ও ৬টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। এসব কোর্সে ১০ হাজার ১২৭ জন ছাত্রী অধ্যায়নরত এবং ৮২ জন শিক্ষক ও ৬৬ জন কর্মচারী কর্মরত রয়েছে।

অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি হাবিবুন নাহার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোল্লা জালাল উদ্দিন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. হানজালা, খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমূল আহসান সহ বিপুল সংখ্যক সকরারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক এবং কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
এমআরএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।